নিয়োগ নিয়ে ইবি উপাচার্যের অডিও ফাঁস, প্রতিবাদে কার্যালয়ে তালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে এক বিভাগের নিয়োগ এবং নিয়োগ বোর্ডের প্রশ্ন ফাঁসের তিনটি কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রতিবাদে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে তার কার্যালয়ে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছেন দৈনিক মজুরী ভিত্তিক (ডে লেবার) কর্মচারীরা। অস্থায়ী চাকরীজীবী পরিষদের ব্যানারে তারা এ আন্দোলনে অংশ নেয় বলে জানা গেছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় তারা উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। আন্দোলনে তারা উপাচার্য বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এসময় সেখানে সংগঠনের সভাপতি টিটু মিজান, সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দ্দার, মাছুম বিল্লাহসহ প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মীকে দেখা যায়। পরে বেলা ১ টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ের তালা খুলে দেন তারা।
সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রহমান (টিটু) বলেন, ইবি ভিসি দুর্নীতি করে নিয়োগ দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এই দুর্নীতিবাজ ভিসিকে আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখতে চাই না।এই ভিসিকে অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্ক মুক্ত করতে চাই। তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।' তবে অফিস তালাবদ্ধের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, তালা কারা মেরেছে এটা জানি না।
তবে নাম না প্রকাশের শর্তে উপাচার্যের অফিসের এক কর্মচারী বলেন, আমরা তিন-চারজন ভিতরে ছিলাম। পরে উনারা এসে হুমকি-ধামকি দিয়ে বের করে দিয়েছেন আমাদের। পরে গেটে তালা মেরে দেয়। এ বিষয়ে উপাচার্যের একান্ত সচিব (পিএস) আইয়ুব আলী বলেন, আমি অফিস ছিলাম না। কারা করেছে এ বিষয়ে কিছু জানিনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড.শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত নিয়ে ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।
এএজেড
