বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীকে মারধরের বিচারে অবস্থান কর্মসূচি

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা তিন কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ এনে জড়িতদের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত কর্মচারীরা। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) কর্মচারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এসময় মারধরের ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানায় অবস্থানরত কর্মচারীরা।
জানা যায়, সোমবার সকালে এম্বুলেন্স আসতে দেড়ি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বুলেন্স চালক আনোয়ারকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও পরিবেশ পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সামিউল হক হিমেলের বিরুদ্ধে। এতে মারধরের শিকার আনোয়ারের একটি হাত ভেঙ্গে গেছে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ময়মনসিংহের টাউনহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসচালক মাহফুজকে বাস থামাতে বললে বাস কিছু দূরে গিয়ে থামায় রাফসান (সম্ভাব্য নাম) নামের এক শিক্ষার্থী মাহফুজকে মারধর এবং বাস ক্যাম্পাসে পৌঁছালে সহকারী প্রক্টরের সামনে রাফসানের বন্ধুরা মিলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং পরবর্তীতে ফোনে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ করেন মাহফুজ।
গত শুক্রবার (১০ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের অফিস সহায়ক আলআমিনকে কিছু শিক্ষার্থী তার বাসায় গিয়ে মারধর করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরপর তিনদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আজ দুপুর ১২ টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনের অবস্থান নেন কর্মচারীরা। এসময় অবস্থানরত কর্মচারীরা বলেন, রাফসান হিমেলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষার্থী পরপর তিন দিন কর্মচারীদের মারধর করল। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরারব লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো ধরনের সমাধান পাইনি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিলে আজ আমাদের এখানে অবস্থান করতে হতোনা। আমরা এই ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ শাস্তি স্থায়ী বহিস্কার চাই। শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখান থেকে উঠব না। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট, রেজিস্ট্রার, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
এসময় তারা কর্মচারীদের মারধরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান এবং এর সাথে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য কর্মচারীদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.সৌমিত্র শেখরের মমমতাময়ী মায়ের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের কারণে আগামীকাল পর্যন্ত তাদের অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে কর্মচারীরা।
এএজেড
