নোবিপ্রবিতে যৌন হয়রানির দায়ে শিক্ষকের শাস্তি

যৌন হয়রানি ও নম্বর কারচুপির অভিযোগে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত বছরের ১৪ আগস্ট নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও নম্বর কারচুপির অভিযোগ তুলেন শিক্ষা বিভাগের ১৩, ১৪,ও ১৫ তম বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিমূলক আচরণের অভিযোগ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. মো. আব্দুল বাকী স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ (পাঁচ) বছরের জন্য মুশফিকুর রহমান আশিককে নিম্নপদে অর্থাৎ প্রভাষক পদে পদাবনতি দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো অভিযোগ উত্থাপিত হলে তাকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করা হবে। এ সময়ে তিনি প্রমোশন/আপগ্রেডেশনের কোনো আবেদন করতে পারবেন না এবং শিক্ষাছুটিতে যেতে পারবেন না।
বিভাগের বর্তমানে যেসব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন উক্ত ব্যাচ সমূহের সব অ্যাকাডেমিক (ক্লাস ও পরীক্ষা) ও প্রশাসনিক কাজে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। তবে বিভাগের নতুন ব্যাচে তিনি ক্লাস ও পরীক্ষার কাজে অংশ নিতে পারবেন। তবে তার ক্লাস কার্যক্রম বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিবিড় পর্যবেক্ষণ করবেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুশফিকুর রহমান আশিকের বিরুদ্ধে নম্বর কারচুপি, যৌন হয়রানিসহ নানা বিষয়ে এর আগে শিক্ষা অনুষদের ডিন এবং বিভাগটির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এসএন
