ঢাবিতে শেষ হলো চলচ্চিত্র উৎসব

ভাষাশহীদদের স্মরণ, বাংলা সিনেমার প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে পর্দা নামল ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪২৯’ শীর্ষক চলচিত্র উৎসবের।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে এক সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র উৎসবে সমাপ্তি ঘটে। এতে চলচ্চিত্র নির্মাতা বাদল রহমানকে মরনোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ চলচ্চিত্রটিকে হীরালাল সেন পদক প্রদান করা হয়। এ ছাড়া, ৪টি ক্যাটাগরিতে ‘দামাল’, ‘সাঁতাও’, ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ এবং ‘শিমু’ চলচ্চিত্রকে পুরস্কৃত করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন যেন বাণিজ্যিকীকরণ করা না হয় সেজন্য শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে। বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, সমাজ ও সভ্যতার বিকাশে সুস্থ ধারার বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। চলচ্চিত্র একটি সমাজের প্রতিচ্ছবি ; সেইসঙ্গে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলচ্চিত্র। মানবিক, অসাম্প্রদায়িক ও উন্নত সমাজ বিনির্মাণে চলচ্চিত্রসহ অন্যান্য সহশিক্ষামূলক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে বেশি করে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান ঢাবি উপাচার্য।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি শিয়ান শাহরিয়ার আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র বিষয়ক লেখক ও সমালোচক মাহমুদুল হোসেন, চলচ্চিত্র নির্মাতা মশিউদ্দিন সাকের এবং চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক কেএম ইতমাম ইসলাম।
উল্লেখ্য, দুই বাংলার সমসাময়িক ও ধ্রুপদী ১৮টি চলচ্চিত্র, দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও দুটি প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় ২১তম এই চলচ্চিত্র উৎসব।
এমএমএ/
