ইউজিসির চিঠিতে ঢাবি ও শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগ

সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশেনর (ইউজিসি) ইস্যুকৃত চিঠিতে সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, যা বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষকদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, সরকারি হিসাব সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির বরাত দিয়ে উক্ত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিস্তালয়ের শিক্ষকদের বেতনের সঙ্গে ‘বিধি-বহির্ভূতভাবে’ প্রদত্ত গবেষণা-ভাতা হিসেবে প্রদত্ত ৮৮৪১০০০/- টাকা চার সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, এক্ষেত্রে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিধিবহির্ভূত' শব্দযুগল ব্যবহার করা হয়েছে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই।
আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতনের সঙ্গে ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত এবং বরাদ্দকৃত বাজেট থেকেই নির্দিষ্ট পরিমাণ গবেষণা ভাতা প্রদান করা হতো, এবং সেটা দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত একটি রীতি ছিল। কিন্তু ইতোমধ্যে এই ভাতা প্রদান বন্ধ করা হয়েছে, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের সহজভাবে মেনে নেননি। কারণ গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাগত উন্নতির জন্য বাধ্যতামূলক, সকল শিক্ষককেই গবেষণা করতে হয়। তাই গবেষণা-ভাতা তাদের জন্য একটি যৌক্তিক প্রণোদনা, এটি তাদের অধিকার।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। তাই প্রতিষ্ঠানের সিনেট ও সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত বাজেট অনুসারে শিক্ষকদের প্রদত্ত টাকা ফেরৎ চাওয়া সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। দীর্ঘদিন ধরে প্রচলিত এ রকম একটি সুবিধাকে হঠাৎ করে ‘বিধি-বহির্ভূত’ হিসেবে আখ্যায়িত করা এবং ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়কে লেখা চিঠিতে অপ্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ উদ্ধত্যপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
বিজ্ঞপ্তিটিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য নতুন নতুন কঠোর নীতিমালা প্রণয়নের পাশাপাশি তাদের জন্য প্রচলিত নানা রকম সুবিধা কর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যা সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে চরম অসন্তোষের জন্ম দিচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার সম্ভাবনা তৈরি করছে।
এ ছাড়া, অনতিবিলম্বে উক্ত চিঠিটি প্রত্যাহার করা না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষক সমিতি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে বলে জানানো হয়।
এমএমএ/
