চবির ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত

'সাফল্যের উচ্ছ্বাসে, ম্যানেজমেন্ট পঞ্চাশে' এই প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হলো ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সূবর্ণজয়ন্তী। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা চত্বরে এই সূবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন করা হয়। সকালে সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাড়ে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্ট থেকে র্যালি বের হয়ে জয়বাংলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
এর পর সাড়ে ১০ টায় বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড শিরিন আখতার, উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড আব্দুল্লাহ আল মামুন,বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড আবু মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড আবু তাহের।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিন আখতার, উপ উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড আবু তাহের,ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড আবু মোহাম্মদ আতিকুর রহমান,অধ্যাপক ড.আব্দুল্লাহ আল মামুন।
ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড আবু মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অনেক ঐতিহ্য রয়েছে, ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের গ্রাজুয়েটরা দেশে বিদেশে তাদের স্ব স্ব জায়গায় ভূমিকা রাখছে।এটা ম্যানেজমেন্ট ডিপার্ট্মেন্টের সবচেয়ে বড় সাফল্য এবং কৃতিত্ব হচ্ছে আমাদের শিক্ষকদের, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় সাফল্য।
চবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ১৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী গোলাম মাইনউদ্দিন রনি বলেন, এতদিন পরে সবাই একসাথে মিলিত হয়ে খুবই আনন্দ লাগছে। কারণ ব্যস্ততার মাঝে সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমরা আমাদের সেই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ও হল জীবনে ফিরে গেলাম।
চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী এরশাদ হোসেন আজকের এই প্রোগ্রামের অংশ হতে পেরে, কারেন্ট স্টুডেন্ট হিসেবে, আমি খুবেই আনন্দিত। এত বড় একটা প্রোগ্রাম পেয়ে খুবেই ভালো লাগতেছে।
দীর্ঘদিন পরে নিজ ক্যাম্পাসে পুরাতন বন্ধুদের কাছে পেয়ে বাধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। সবাই একই রঙের পোশাক পড়ে ছবি,নাচ,গানে সূবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে মাতেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। বিভাগটির প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি ছিলেন অধ্যাপক সৈয়দ শামসুজ্জোহা।
এএজেড
