রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

'আইনজীবী হয়ে বাবার মৃত্যুর বিচার করতে চাই'

পায়ে চলতে না পারলেও নিজের স্বপ্ন পূরণে ছুটে চলছে মো. রিফাত রহমান। শুধু পায়ে নয় ডান হাত দিয়েও তেমন কোন কাজই করতে পারে না সে। সেজন্য বাম হাতেই সকল কাজ করতে হয়। একাই চলতে ফিরতে ও কথা বলার জড়তার জন্য শুনতে হয় সমাজের নানা কটু কথা। এমন শারীরিক সমস্যা নিয়ে তার পড়ালেখা করা প্রায় অনিশ্চিতই ছিলো। কিন্তু নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে ও মায়ের সর্বাত্মক পাশে থাকা সকল বাঁধা আজ পর্যন্ত তার কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। সকল বাঁধা, অন্ধকার জয় করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে মো. রিফাত রহমান।

রিফাতের রহমানের সফলতার গল্পটি শোনা হয় তার নিজের মুখেই। তিনি বলেন, আমি যখন বুঝতে পারি আমার অনেক বড় শারীরিক সমস্যা রয়েছে, লোকেও বলতো আমাকে দিয়ে কিছু হবে না। একদিন রাতে আমার সামনেই একজন বলে উঠলো, তুমি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে কি করবে, তোমার বড় ভাই হলে কিছু একটা হতো। আমি কিছু করতে পারবে না এটা আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই কিছু করার জন্য পড়াশোনা করছি। রিফাতের বাড়ি চুয়াডাঙ্গার পিটিআই মোড়ে।

বাড়িতে তার মা মোছা. রহিমা খাতুন আছেন, বড় ভাই মো. জুবায়ের রহমান আছেন এবং বাবা মো. সাইদুর রহমান ২০১৯ সালে এক দুর্ঘটনায় মারা যান। বড় ভাই ফ্রিল্যান্সিং করে। জন্মের পর সে প্রায় তিন বছর কথা বলতে পারেনি। কিন্তু তার মা হাল ছেড়ে দেয়নি। তিনি রিফাতের কথা বলার জন্য যা করার সব কিছু করেন। এখন সে কথা বলতে পারে কিন্তু তারপরও সমস্যা হয়। তাই প্রায়ই সময় একাই কথার জড়তা কাটাতে কথা বলার অনুশীলন করে। আজকেও জুবেরী মাঠে অনুশীলন করে বাসায় যাবে বলে জানায় রিফাত।

তার রাজশাহীর বর্তমান অবস্থানের বিষয় বলেন, এই প্রথম বাড়ির বাহিরে আছি প্রায় দুই মাস। এখানে রাজশাহী ধরমপুর এলাকায় মা-সহ থাকি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেকটা দূর হওয়ায় আমার যাওয়া আসা সমস্যা হয়। অন্যদিকে রাস্তাটাও অনেক দুর্ঘটনা প্রবণ। বাবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ায় তার মৃত্যুর পর তার পেনশন দিয়েই আমাদের সংসার চলছে। সেই টাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকা আমাদের জন্য কষ্ট হয়।

দুই সপ্তাহ হলো আমি বৈদ্যুতিক হুইলচেয়ার ব্যবহার করছি। তাতে কিছুটা উপকার হচ্ছে। কিন্তু একাডেমিক ভবনগুলোতে একাই যেতে পারি না কারণ প্রবেশ সিঁড়ি গুলো হুইলচেয়ার উঠার মতো চওড়া নয়। তাই ক্লাস করতে আসার সময় বন্ধুদের মাধ্যমে সিঁড়ি উপরে উঠি। বন্ধুরাই আমাকে ক্লাসে যেতে সাহায্য করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি হলে থাকার ব্যবস্থা করে দেন তাহলে আমার জন্য খুব উপকার হয়।

রিফাত প্রথম যখন স্কুলে ভর্তি হতে যায় ভেবেছিলো তাকে হয়তো ভর্তি নিবে না। কিন্তু দ্বীপশিখা প্রি-ক্যাডেট স্কুল তাকে ভর্তি নেয়। আর সেখানে থেকে তার পড়াশোনা শুরু। এজন্য সে ওই স্কুলকে ধন্যবাদ জানায়। কারণ শুরুটা তার ওখান থেকে না হলে এতদূর আসা কঠিনই ছিলো। সে তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ফলাফলের দিক দিয়ে থাকে সবার থেকে এগিয়ে। পঞ্চম শ্রেণিতে ৬০০ এর মধ্যে ৫৭৩ নম্বর পেয়ে বৃত্তি পায়।

নীলমণিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে দশম এবং চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে সাফল্যের সাথে উত্তির্ণ হয়। অষ্টম এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে বৃত্তি পায়। শুধু দশম শ্রেণিতে ৪.৬১ জিপিএ পায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সংগ্রামের বিষয় জানতে চাইলে বলেন, কলেজে থাকা অবস্থায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত টিউশন পড়াতাম। এখনো এক জায়গায় অনলাইনে পড়াই।

তবে টাকার বিনিময়ে নয়। ভালো লাগার জায়গা থেকে। কলেজ পরীক্ষা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি। করোনার কারণে তেমন ভালো কোচিং এ পড়তে পাড়িনি। তাই একটা কোচিং এ বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তির জন্য অনলাইন কোচিং করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় না থাকলেও রাবিতে ১৪৪ মেধা তালিকায় ও গুচ্ছতে ৬৬ নম্বর পেয়ে আমার মেধা তালিকা আসে। সিদ্ধান্ত নিই রাবিতে পড়বো। তাই গুচ্ছতে
যাইনি।

বাবার মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে জানাতে চাইলে আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি জানান, আমাদের বাড়ি হাই-রোডের পাশেই। সেসময় আমি এসএসসিতে পড়াশোনা করি। আমার বাবা মো. সাইদুর রহমান একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। অবসর নেওয়ার আর মাত্র পাঁচ বছর বাকি। একদিন একটা ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের বাড়িতে আঘাত করে এতে ঘরের দেয়াল ভেঙে বাবা চাপা পড়ে এবং মারা যায়। সেই ঘটনা পেপারেও এসেছিলো। আমরা মামলা করেছিলাম। কিন্তু ট্রাক ড্রাইভারের কিছুই হয়নি।

তার স্বপ্নের বিষয় বলেন, ২০১৯ সালে আমার বাবা যখন দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়। সে বিচার এখনও না পাওয়ায় আমি স্বপ্ন দেখি একদিন বড় আইনজীবী হবো। আমার মেধা ও ভাগ্যক্রমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাই। তাই স্বপ্ন দেখি একদিন অনেক বড় আইনজীবী হবো আর আমার বাবার মৃত্যুর সঠিক বিচার মাকে এনে দিবো।

রিফাতের মোটিভেশনাল বই পড়তে, ঘুরতে ও তাহসানের গান শুনতে ভালো লাগে। তাহসানের, বিন্দু আমি, আলো আলো তুমি কখনো, গান শুনি। রিফাত রহমানের বিষয় আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এম হাসিবুল আলম প্রধানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তাকে আমি চিনি এবং জানি। এজন্য ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে পর থেকে ব্যক্তিগত ভাবে খোঁজ খবর রাখি তার সাথে।

তার বন্ধুরা ও বিভাগের সবাই যাতে তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয় তার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। তার যেকোনো সমস্যা আমরা গুরুত্বের সাথে দেখছি। কারণ সে অনেক মেধাবী এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার আইন বিভাগে মেধা তালিকা থেকে ভর্তি হয়েছে। আমি তার ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল হোক এই কামনাই করি।

ধরমপুর থেকে ক্লাস আসার সমস্যার বিষয় এবং হলে থাকার ব্যবস্থার বিষয় তিনি বলেন, তার মা-সহ সে ভাড়া বাসা থাকে এবং অনেক দূর থেকে ক্লাসে আসে। সে যদি এই বিষয় আমাদের বলে তাহলে আমি তার হলের প্রাধ্যক্ষ ও প্রশাসনকে বলে হলে থাকার ব্যবস্থা করবো। কারণ প্রশাসন এ বিষয়ে এখন অনেক সচেতন।
এএজেড

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি