রাবি চারুকলায় ‘শীত আগমনী উৎসব’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদে প্রথমবারের মতো ‘শীত আগমনী উৎসব-১৪২৯’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় উপউপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক মাদুর উন্মোচন ও কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন চারুকলার শীত আগমনী উৎসব।
অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন গ্রাফিক্স ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম তাহমিদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন একই বিভাগের অধ্যাপক ড. বিলকিস বেগম। অনুষ্ঠানে চারুকলার ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, বিশেষ অতিথি জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. আবদুস সোবহান এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে উপউপাচার্য অধ্যাপক এম হুমায়ুন কবীর বলেন, শীত আমার কাছে উপভোগের বিষয় বলে মনে হয়। বছরের অধিকাংশ সময় আমরা গরমে পার করি। শীত অল্প সময়ের। আর শীতের মূল আকর্ষণ পিঠা। আমরা সারা বছর তাকিয়ে থাকি চারুকলার পিঠা উৎসবের দিকে। আজকে আমরা সেই পিঠা খাব এবং চারুকলা শিক্ষার্থীদের পিঠার বিভিন্ন আয়োজন তা উপভোগ করব।
তিনি আরও বলেন, চারুকলা বিগত কয়েক বছর ধরে যে সমস্ত কৃতিত্বের ছাপ রেখে চলছে সেটা যেন অব্যাহত থাকে তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অর্থনৈতিক ও অন্য সব বিষয়ে সহযোগিতা করবে।
কোষাধক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক বলেন, আমাদের বাংলাদেশে শীত অল্প সময়ের দুই থেকে তিন মাস থাকে। এই সময়টাকে সুন্দর করার জন্য আমরা তাকিয়ে থাকি, তাকে বরণ করি, উপভোগ করি। তবে শীত কিন্তু সবার কাছে আনন্দের নয়, যাদের ঘর নেই, কাপড় নেই তাদের কষ্টের হয়। অন্যদিকে ঘর, কাপড় থাকা মানুষদের জন্য শীত আনন্দের।
বক্তব্য শেষ অতিথিরা ও চারুকলা শিক্ষকেরা চারুকলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখেন ও পরে র্যালিতে অংশ নেন তারা। এ ছাড়া এদিন দুপুর দুইটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থাকবে চারুকলার শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এসএন
