'সাইবার অপরাধ শনাক্তকরণে দেশ প্রায় শতভাগ সফল'
বাংলাদেশ সরকার সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করছে। দেশের নাগরিকদের সাইবার নিরাপত্তার জন্য আমাদের যথেষ্ট লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আপনারা অভিযোগ দায়ের করুন। প্রয়োজনে ৯৯৯-এ কল করুন। দেখবেন আপনার পাশে পুলিশ এসে উপস্থিত। আমরা দেশে ডিজিটাল ক্রাইম শনাক্তের জন্য ‘এনটি এমসি’ টিম গঠন করেছি। সাইবার অপরাধ শনাক্তকরণে দেশ প্রায় শতভাগ সফল।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি আয়োজিত ‘সাইবার সিকিউরিটি ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ২০২২’ শীর্ষক ৮-দিনব্যাপী প্রশিক্ষন কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বজায় রাখতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সাইবার জগতে নিরাপত্তার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার নানা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে উল্লেখ করে তিনি এক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
এ সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, সমাজে টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। জাতির সকল মানবিক ও কল্যাণকর কাজের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ত থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তায় সমাজের সকলকে নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ন্যানো টেকনোলজির এই যুগে আমাদের প্রযুক্তির বাইরে থাকার সুযোগ নেই। একইসঙ্গে প্রযুক্তি ব্যাবহারের ক্ষেত্রে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠে নিরাপদ সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখার জন্য উপাচার্য আইটি সোসাইটির সদস্যনহ শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
সংগঠনের মডারেটর অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূঁইয়া’র সভাপতিত্বে ও আইটি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অরিফ দেওয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান হারুণ অর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ, চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের নির্বাহী পরিচালক তালাত মামুন, নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন এবং আইটি সোসাইটি’র সভাপতি নাজমুস সাকিব ও সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান।
অনুষ্ঠানে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের সহযোগিতায় গত ৩০ অক্টোবর ইডেন কলেজে এই কর্মশালা শুরু হয়। এরপর ৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলে গভর্মেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল ও শামসুন্নাহার হলে।
এমএমএ/