পাবিপ্রবি’তে পরিবহন অফিস, ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম হলো
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ শনিবার ওয়ার্কশপ, পরিবহন অফিস ও ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম (ভিটিএস)’র শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। ফলে পরিবহন পুল চারতলা বিশিষ্ট স্থায়ী ওয়ার্কশপ ও পরিবহন অফিস পেল।
দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে. এম. সালাহ উদ্দীন।
উদ্বোধনী সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিবহন পুলের প্রশাসক ড. মো. রাহিদুল ইসলাম।
বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের ওয়ার্কশপ ও স্থায়ী অফিস আমাদের দরকার ছিল। সেই প্রত্যাশা আজ পূরণ হলো। পরিবহনে ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে আমরা আধুনিক প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে পারব। ফলে মাধ্যমে আমাদের পরিবহন ব্যবস্থাপনা আরও সহজ ও যুগোপযোগী হবে। এই পদ্ধতিকে আমাদের ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করতে হবে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে পুলের গাড়িগুলো ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস.এম. মোস্তফা কামাল খান বলেন, ‘‘ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেম একটি আধুনিক প্রযুক্তি। তাতে আমাদের পরিবহন ব্যবস্থাপনা আরো সুন্দর এবং পরিশীলিত হবে।’’
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে. এম. সালাহ উদ্দীন বলেন, ‘ওয়ার্কশপ, পরিবহন অফিস এবং ভেহিক্যাল ট্র্যাকিং সিস্টেমের মাধ্যমে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে এক ধাপ এগিয়ে গেল।’’
উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, অনুষদগুলোর ডিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প পরিচালক, ছাত্র উপদেষ্টা, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক, কর্মকর্তা, পরিবহন পুলের সব ড্রাইভার, হেলপার ও কর্মচারী।
উল্লেখ্য, আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম সংযোজন ‘ভেহিক্যাল ট্র্যাকার সার্ভিস (ভিটিএস)’। সাধারণত জিপিএস অথবা গ্লোনাস প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ির অবস্থান বের করে। এক্ষেত্রে কারের তথ্য ইলেকট্রনিক ম্যাপে দেখা যায় ইন্টারনেটে। ট্র্যাক করার পাশাপাশি প্রযুক্তিটির মাধ্যমে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ, ফুয়েলের অবস্থা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। ডিভাইসটি এক স্থান থেকে অন্য স্থানের দূরত্ব নিরূপণ, ট্রিপ রিপোর্ট, ওভার স্পিড রিপোর্টও দিতে পারে। সেবাটি ব্যবহারকারীরা ওয়েবসাইট, মোবাইল এসএমএস ও নির্দিষ্ট কল সেন্টারের মাধ্যমে সুবিধাগুলো পেয়ে থাকেন।
লেখা ও ছবি : মো.বাবুল হোসেন।
ওএফএস।