রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিবাদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের মাত্রা দিন, দিন বেড়েই চলেছে দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, শাখা।
সাধারণ সম্পাদক মিঠুনচন্দ্র মহন্ত স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিবাদ জানান তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোর মাঝে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডগুলোর মাত্রা শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক শিক্ষাদানের কর্মসূচী ব্যহত হচ্ছে। নিয়মিত চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে সিট বাণিজ্যসহ এহেন কোন অপকর্ম নেই, যা এই সময়ে সংগঠিত হয়নি। ক্যাম্পাসের হলগুলোতে সিট বাণিজ্যের পর, চাঁদাবাজির ঘটনা এখন নিয়মে পরিগণিত হয়েছে।
আরো জানানো হয়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হলে একজন আবাসিক শিক্ষার্থীকে তিন ঘন্টা আটকে রেখে চাঁদাবাজি করার প্রয়াস চালিয়েছে হলের ছাত্রলীগ সভাপতি ভাষ্কর সাহা। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে ফোন দিয়ে ডেকে ২০ হাজার চাঁদা দাবী করেন। চাঁদা না পেয়ে তাকে স্ট্যাম্প দিয়ে আঘাত করেন ও ঘটনাটি কাউকে জানালে বুয়েটে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার আবরার’র মতো পরিস্থিতি করবে বলেও হুমকি প্রদান করেছেন। এর আগেও কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা চাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একটি ঘটনারও সুষ্ঠু তদন্ত করে পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়নি প্রশাসন। ফলশ্রুতিতে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে ছাত্র সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ার বিষয়গুলো প্রশাসনের ব্যর্থতার উদাহরণ। ফলে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। প্রশাসন এক সমুদ্র আশ্বাস না দিয়ে নূন্যতম পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হলে এহেন ঘটনার পুনরাবৃত্তি সম্ভব হত না।
সংগঠনটি বলছে, সামছুল ইসলামের সাথে ঘটে যাওয়া নিপীড়নের বিচার না করলে শিক্ষার্থীদের পক্ষ না নিয়ে ছাত্রলীগের পক্ষপাতিত্ব করা হবে। যা প্রশাসনের নিয়মতান্ত্রিক চরিত্রের বাইরে গিয়ে সন্ত্রাসীদের তোষণ করা।
‘এই ক্যাম্পাস বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা না নেয়া আমাদের হতাশার জন্ম দেয়। আমরা আবরারের ঘটনার পূনরাবৃত্তি চাই না’ বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তারা।
ওএফএস।