বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
‘যে দেশে সকল ধর্ম, বর্ণ, জাতি ও গোষ্ঠীর সমান অধিকার থাকে না, সেটি আধুনিক রাষ্ট্র হতে পারে না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন। তার দেশে কোনো ধর্ম-বর্ণের বৈষম্য রাখেন নি। বরং বাঙালি জাতিকে অসাম্প্রদায়িক চেতনার গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। একটি অসাম্প্রদায়িক ও আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মানের কারিগর’, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘বঙ্গবন্ধু ও আধুনিক রাজনীতি’ আলোচনা সভায় বলেছেন বিশিষ্ট লেখক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক স্বদেশ রায়। তিনি আরো বলেন, “এই উপমহাদেশে ইংরেজদের দ্বারা যখন মানুষ পদদলিত হচ্ছিল, তখন রাজনৈতিক অধিকার রক্ষার জন্য গড়ে উঠে কংগ্রেস। তবে ধর্মের জন্য গড়ে উঠল মুসলিম লীগ। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হলো ধর্মের ভিত্তিতে। সেখানেও ধর্মীয় বৈষম্য যখন চরমে, তখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে হলো স্বাধীন বাংলাদেশ। তাকে হত্যার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নিজ বাসভবন ছেড়ে বঙ্গভবনে অবস্থানের অনুরোধ করেছিলেন। তখন বঙ্গবন্ধু হেসে বলেছিলেন, ‘কোন বাঙালি আমাকে হত্যা করতে পারে না।’ তার সেই অগাধ বিশ্বাসভঙ্গ করেছিল কতিপয় বাঙালি বিশ্বাসঘাতক। সেদিন ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিল সেই বিশ্বাস ও সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার সভাপতি ছিলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু সতত-সমুজ্বল, সর্বত্র বিরাজমান। ঘাতক চক্র হত্যা করলেও তার স্বপ্ন-আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের মহিমা ও দীর্ঘ সংগ্রামী জীবনাদর্শ আমাদের কর্মে প্রতিফলিত করাই হোক অঙ্গীকার। ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকলের বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাই।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আবদুস সালামের এই আলোচনায় সঞ্চালনা করেছেন। অংশ নিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, বিভিন্ন অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ ও বিভাগীয় সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী।
ওএফএস।