পাগলের হামলায় ছাত্রলীগের ৩ নেতা আহত!
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের আয়োজিত স্মরণসভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় জয়নাল নামে ভাসমান এক পাগলের হামলায় ছাত্রলীগের ৩ নেতা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকালে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুই দলের অন্তত ৩০-৪০ নেতা-কর্মী আহত হন। সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ ও ছাত্র অধিকার পরিষদ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্য বলেন, ভাসমান এক পাগল ছাত্র অধিকার পরিষদের পক্ষ নিয়ে ৩ ছাত্রলীগ নেতাকে আহত করেছে। এ ছাড়া পাগলের হামলায় ছাত্রলীগের ৩ নেতার আহত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা কামাল খান ও তানভির হাসান সৈকত।
ঢাকা মেডিকেলে আহত ছাত্রলীগ নেতাদের দেখতে গিয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কামাল খান বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা প্রথমে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা করে। এরপর ঢাকা মেডিকেলে আমরা আহত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দেখতে গেলে সেখানেও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা আমাদের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নাজিম উদ্দীনসহ বেশ কয়েকজনের উপর হামলা করে।
তিনি বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ ক্যাম্পাসে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের প্রবেশ করিয়ে ছাত্রলীগের উপর হামলা করেছে। বহিরাগত এক পাগল ছাত্রলীগের তিন নেতার উপর হামলা চালিয়ে তাদের আহত করেছে বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদ বেশি বয়সীদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। আমরা এ বিষয়টি প্রশাসনকে দেখার জন্য অনুরোধ করেছি। আমরা ছাত্র অধিকারের বিরুদ্ধে ও বহিরাগতদের প্রবেশ করায় শাহাবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করছি।
ছাত্রলীগেরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন নেতারা। ছাত্রলীগের দাবি, ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের হামলায় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দীন ও বরিকুল ইসলাম বাঁধন, উপ আইন সম্পাদক শেখ সুজন, উপ সম্পাদক ফয়সাল আমিন তামিম, কর্মী আমিনুল ইসলাম এবং টিএসসি এলাকার পথশিশু সাকিলসহ অনেকেই আহত হয়েছে।
হামলার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজসেবা উপ-সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত বলেন, ছাত্রলীগ নয়, বরং তারাই ছাত্রলীগের উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের সেখানে কর্মসূচি করার কোনো পূর্ব ঘোষণা ছিল না। আর তাদের বলা হয়েছিল আবরার হত্যা মামলার যেহেতু বিচার হয়েছে, সুতরাং এটি নিয়ে ঢাবিতে কর্মসূচি করার প্রয়োজন নাই। প্রয়োজন হলে বুয়েটে গিয়ে যেন তারা এই মানববন্ধন করে। এসব বলার কারণেই তারা ছাত্রলীগের উপর হামলা করে।
এদিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই স্মরণসভায় হামলা চালিয়ে সভা পণ্ড করে দিয়েছে বলে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ। এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ আমাদের উপর হামলা করল আর পুলিশ বেআইনিভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে গ্রেপ্তার করল।
কেএম/এসজি