`দেড় বছর ডিনদের বলছি, জার্নাল তৈরির ব্যবস্থা নিন, কিন্তু অগ্রগতি নেই’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) প্রতিষ্ঠার ১১ বছর সম্পন্ন হলেও গবেষণায় নেই কোনো অগ্রগতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই কোনো নিজস্ব জার্নাল, শিক্ষার্থীরা পান না গবেষণা সহকারী হিসাবে কাজের সুযোগ।
দেশের গবেষণা সিগনেটের মতে, এটি সমস্যা নিরসনে, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে, দেশের জিডিপি উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। গবেষণা মানুষের সহনশীলতা, নমনীয়তা, প্রতিশ্রুতি, কর্মক্ষমতা, মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ ও আনন্দের প্রতিনিধিত্ব করে।
বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের তালিকাতে পিছিয়ে আছে। বশেমুরবিপ্রবি গবেষণায় অনেক পিছিয়ে। কারণ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে নেই কোনো জার্নাল, নেই শিক্ষার্থীদের রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ প্রদানের রীতি।
ছাত্র, ছাত্রীরা ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষকদের শরনাপন্ন হলে কাজ শুরু হয় এবং ধীরগতিতে চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থা না থাকায় যথেষ্ট ফান্ডিং, ল্যাবরেটরির অভাব খুব হয়। ফলে গবেষণায় আগ্রহ হারাচ্ছেন উদ্যমী শিক্ষার্থীরা।
প্রসাশনের কাছে গবেষণায় নিয়োজিত শিক্ষার্থীদের দাবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জার্নাল প্রতিষ্ঠা ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গবেষণার আহ্বান করে রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে তাদের নিয়োগ প্রদান করে গবেষণায় যাবতীয় সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে আগ্রহীদের গবেষক হয়ে উঠতে অবদান রাখা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা ক্লাবের সভাপতি আকিব আদনান বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা গবেষণায় আগ্রহী। তবে তারা যথেষ্ট সহযোগিতার অভাবে গবেষণার কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নাল থাকলে নিজেদের গবেষণাপত্র প্রকাশে এগিয়ে থাকতাম। জার্নাল প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগ প্রদানের মাধ্যমে গবেষণায় সুযোগ করে দেয়া উচিত।’
জার্নাল ও গবেষণা ইত্যাদি বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি’র উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব বলেন, "আমি গত দেড় বছর যাবত ডিনদের বলছি, জার্নাল তৈরির ব্যবস্থা নিন, কিন্তু তাদের কোনো অগ্রগতি নেই। শুধু দুইটি অনুষদ জার্নালের নাম প্রস্তাব করেছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা বিদেশী জার্নালে গবেষণাপত্র প্রকাশ করে কিন্তু নিজেদের ক্যাম্পাসের জার্নালে প্রকাশের সুযোগ নেই তাদের। এ দুঃখজনক।"
তিনি আরো বলেন, "আগামী ৪ থেকে ৫ মাসের মধ্যে জার্নাল প্রকাশ না করতে পারলেও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটা বুলেটিন প্রকাশ হবে।"
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র জার্নাল ‘সমাজ ও প্রগতি’ বঙ্গবন্ধু অ্যান্ড লিবারেশন ওয়ার ইনিস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত হয়। তবে তা সংযুক্ত করা নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে।
ওএফএস।