তিনটি বিভাগেই স্বর্ণ জয় করেছেন টেবিল টেনিসে ‘আইইউবির শ্রদ্ধা’
‘শারমিন ইসলাম শ্রদ্ধা’ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবি (ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটি, বাংলাদেশ)’র ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একটি প্রতিযোগিতাতে তিনটি বিভাগেই স্বর্ণ জয়ের অনন্য ও বিরল সম্মান অর্জন করেছেন।
তিনি এবারের বঙ্গবন্ধু আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতাতে সবশের্ষ ফাইনালে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে মেয়েদের টেবিল টেনিস এককে স্বর্ণ জয় করেছেন।
তার আগে একটি আসরে কোনো মেয়ে অথবা পুরুষ খেলোয়াড়ই তিনটি স্বর্ণ টেবিল টেনিসের কোনো বিভাগ থেকে জয় করতে পারেননি।
শ্রদ্ধা টেবিল টেনিসের মেয়েদের দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈতে তার এআইইউবিকে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছেন।
এই প্রতিযোগিতার টেবিল টেনিসের সবগুলো মানে চারটি বিভাগেই স্বর্ণ জয়ের অনন্য রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। ছেলেদের এককেও স্বর্ণ আছে তাদের। এই কীর্তিও এবার প্রথম গড়েছেন তারা।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় স্থায়ী ক্যাম্পাসের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত মোট ৫টি স্বর্ণপদক জয় করেছে। তার চারটিই টেবিল টেনিসে। এই খেলায় তারা অত্যন্ত শক্তিশালী।
রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ জয় করেছেন তারা একটি করে।
তাদের এই অর্জনই সবচেয়ে ভালো আজ পর্যন্ত।
শ্রদ্ধা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্রী।
অবিশ্বাস্য ভালো টেবিল টেনিস তারকা শারমিন ইসলাম শ্রদ্ধাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আইইউবির সবাই। তাদের ক্যাম্পাসে এখন উৎসবের বাতাস বইছে।
শ্রদ্ধাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে আইইউবি’র উপাচার্য ও বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান বলেছেন, ‘টেবিল টেনিসের পাঁচটি শাখার চারটি স্বর্ণই তোমাদের জন্য ঘরে নিয়ে এলো আমাদের আইইউবি। কী অবিশ্বাস্য পারফরমেন্স তোমার, তিনটি স্বর্ণ এনে দিলে তুমি শারমিন ইসলাম শ্রদ্ধা।’
অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান জানিয়েছেন, ‘আমাদের আইইউবিতে ভর্তির আগে কোনোদিনও টেবিল টেনিস খেলেনি শ্রদ্ধা। ফলে আমাদের সবার আরো গর্বিত হবার সুযোগ আছে।’
তার তিনটি স্বর্ণ জয়কে অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান আইউবির সব খেলোয়াড়, কোচ, টেবিল টেনিসের কোচ, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের অর্জন মনে করেন।
তিনি সব শেষে জানিয়েছেন, ‘আইইউবিকে শ্রদ্ধা আরো গর্বিত করবে বলে আমি আশা করছি।’
তিনি আশা করেছেন, অন্যরাও তার মতো হবে।
আইইউবির ফেসবুক পেইজসহ বিভিন্ন বিভাগের পেইজ ও অধ্যাপক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের প্রোফাইলে ঘুরছেন শ্রদ্ধা।
তারা আছেন পদকজয়ীরা সবাই তাদের ফেসবুক অফিশিয়াল পেইজে।
ওএফএস।