মরিয়ম মান্নান ফেসবুকে বলেছেন নিখোঁজ মায়ের লাশ পেয়েছেন তারা
খুলনার দৌলতপুরের বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ হওয়া আলোচিত সেই রহিমা খাতুনের লাশ পেয়েছেন দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তার মেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীর বোন মরিয়ম মান্নান।
তাদের মাকে খুলনার দৌলতপুরের নিজ বাড়ি থেকে ২৮ দিন আগে গুম করা হয়েছে।
ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় অজ্ঞাত হিসেবে কবর দেওয়া এক লাশকে নিজের মা বলে দাবি করছেন ওই ছাত্রীর বোন।
আজ শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঐ ছাত্রীর বড় বোনের ফেসবুক আইডি থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
রাত ১২ টা ১০ মিনিটি তিনি এক স্টাটাসে জানান, ‘আর কারো কাছে আমি যাবো না। কেউকে আর বলব না আমার মা কোথায়? কাউকে বলব নাহ আমাকে একটু সহোযোগিতা করুন। কাউকে বলব না আমার মাকে একটু খুঁজে দেন। কেউকে আর বিরক্ত করব না। আমি আমার মা'কে পেয়ে গেছি!’
সকাল ৮টায় তিনি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে আরও জানান, ‘ আমার মায়ের চুল, কপাল ও হাত আমি চিনব না তো কে চিনবে? যারা, যারা বলেছিলেন আমার মা আত্মগোপন করেছেন তারা সবাই নাক ঢাকার জন্য ব্যবস্থা করুন। কারণ আমার মার পঁচা, গলা আর পোকায় খাওয়া লাশটা নিয়ে আমি আপনাদের কাছে সবার আগে যাব!’
মেয়ের এমন পোস্টে অনেকেই শেয়ার ও কমেন্টস করেছেন।
তবে বিষয়টি জানার জন্য বশেমুরবিপ্রবি ছাত্রীকে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অপহরণের একদিন পরে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে খুলনার দৌলতপুর থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ব্যস্ত থাকায় দিতে পারেননি সেমিস্টার ফাইনালের দুটি পরীক্ষা।
খুলনার দৌলতপুর থানা পুলিশ, মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই ও ময়মনসিংহ পুলিশ বলেছে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নয়।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন। আর মামলাটি খুলনা পিবিআইয়ের তদন্তে থাকায় তিনি বিস্তারিত জানেন না। তাছাড়া এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতারকৃত ৬ জনের জেল হাজতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
খুলনার পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওই নারীর মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি তাকে ময়মনসিংহের ফুলপুর থানায় লাশ উদ্ধারের কথা জানান। তারা তাকে আজ ঐ থানায় যেতে বলেছেন।
তিনি আরও জানান, ফুলপুর থানা পুলিশ উদ্ধার করা লাশের ডিএনএ নমুনা রেখেছেন। মরদেহের সাথে তার পরিবারের লোকদের ডিএনএ মিললেই বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ওএফএস।