থানায় মামলা, হামলাকারীরা চাকরি প্রত্যাশী ছাত্রলীগ!
লেখা ও ছবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য কার্যালয়ের একান্ত সচিবের কক্ষে হামলার ঘটনায় বিশ্বববিদ্যালয় থানায় মামলার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার উপাচার্যের ভুক্তভোগী পিএস আইয়ূব আলী ও আরেক পিএস মনিরুজ্জামান মিল্টন দুজনেই রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাকে মামলা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ.এম. আলী হাসান।
থানার ডিউটি অফিসার নাজমুল হোসেন অভিযোগ গ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। জানিয়েছেন, “দুটি লিখিত অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগীরা বলেন, ‘গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে দাপ্তরিক কাজ করার সময় টিটু মিজান ও রাসেল জোয়ার্দারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন বহিরাগত তাদের দুইজনকে দুইটি কক্ষে আবদ্ধ করেন। এ সময় আইয়ূব আলীর কক্ষ ভাঙচুর ও গুরুত্বপূর্ণ নথি তছনছ করেছে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। তাকে হেনস্তা করে কক্ষ থেকে বের করে দিয়েছে’।” তিনি শেষে জানিয়েছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মামলা করার সুপারিশ কপি হাতে পেয়েছি।’
ভুক্তভোগী অভিযোগকারী উপাচার্যের একান্ত সচিব আইয়ূব আলী এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করবেন।’
এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, ‘হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কর্মরত কেউ নয়, তারা বহিরাগত। যেহেতু এটি ক্রিমিনাল অফেন্স, তাই আমরা থানায় মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এদিকে, হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কর্মচারীদেরকে রবিবার বহিরাগতদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে শোডাউন ও শ্লোগান দিতে দেখা গেছে। তারা এ সময় প্রশাসন ভবনের নিচে অবস্থান নিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা কয়েকজন কর্মচারী উপাচার্যের পিএস আইয়ূব আলীর কক্ষে গিয়ে তাকে হেনস্তা ও কক্ষটি ভাঙচুর করেন।
তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মী বলে জানা গেছে। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ শুরু করলেও পরে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। সম্প্রতি তাদের চাকরির ফাইল বন্ধের অভিযোগ করেছেন ও ফাইলগুলো চালুর দাবি করছেন।
ওএফএস/