‘দৈনিক ৬০ গ্রামের স্থলে আমরা ৬২ গ্রাম মাছ খেতে পারছি’
লেখা ও ছবি : শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’-শ্লেগানে মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের আয়োজনে আজ মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ পালন করেছে।
সকাল ১১টায় বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পাশের পুকুর, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পুকুরে রুই জাতীয় ১শ ১০ কেজি ওজন হবে এমন মাছের পোনাগুলো ছেড়েছেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।
তখন অংশগ্রহণ করেছেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম. নজরুল ইসলাম, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক শামীম আরা বেগম, ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক জিল্লুর রহমান, ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বি. এম. মোস্তফা কামাল, বিশ্ববিদ্যালেয়ের পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. এম. শাহাবুদ্দিন, গবেষণা পরিচালক প্রফেসর ড. এম. আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. এম. ফরহাদ হোসেন।
ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের বিভাগগুলোর অধ্যাপক, শিক্ষার্থীরা, মৎস্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালেয়ের প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক আল শামসুল হক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সকাল সাড়ে ১১ টায় শেখ কামাল ভবনের ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের সভাকক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উপলক্ষে মৎস্য অধিদপ্তরের সহযোগিতায় আলোচনা সভা করেছেন তারা।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এম. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম. নজরুল ইসলাম ও মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক শামীম আরা বেগম।
সভাপতি ছিলেন ফিশারিজ, অ্যাকোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ. এম. শাহাবুদ্দিন।
অধ্যাপক ড. এম. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেছেন, ‘মৎস্যবিজ্ঞানী, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও সম্প্রসারণ কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনে আজ বিপ্লব সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছেন বলেও মাছ চাষে আমরা বিশ্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছি। বর্তমানে দৈনিক চাহিদা হিসেবে ৬০ গ্রামের স্থলে আমরা ৬২ গ্রাম করে মাছ খেতে পারছি। এখন আমাদের নিরাপদ মাছ উৎপাদনের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। কোনো মাছের কোনো উৎপাদানে যেন মানবদেহের জন্য কোন ক্ষতিকর হরমোন বা মেডিসিন ব্যবহার না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা রপ্তানীর জন্য মাছ উৎপাদনে যেভাবে সতর্ক হই, তেমনিভাবে দেশের মানুষের জন্য নিরাপদ মাছ সরবরাহ নিশ্চিত করব।’
ওএফএস।