ঢাবিতে শরৎ উৎসব উদযাপিত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) সংলগ্ন পায়রা চত্বরে 'জয়ধ্বনি সাংস্কৃতিক সংগঠন' এর আয়োজনে শরৎ উৎসব ১৪২৯ উদযাপিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে সম্মিলিত সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শরৎ উৎসব ১৪২৯-এর সূচনা ঘটে। পরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনকালে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নাগরিক কোলাহলের ভিড়ে আবহমান বাংলায় এমন উৎসব আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে। এসব অনুষ্ঠান সব সময় আমাদেরকে একটি বার্তা দেয়। আমরা উৎসব পালন করব বটে, তবে এ পালনের মধ্য দিয়ে একটি বড় বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যা আমাদের সবাইকে পরিপূর্ণ মানুষ হতে সহায়তা করে। সেই সঙ্গে এসব অনুষ্ঠান বাংলার প্রকৃতি, পরিবেশ সবকিছুর সঞ্চার করে জনমনে। আমাদের সবার উচিত পরিবেশ-প্রকৃতি সংরক্ষণে নিজে সচেতন হওয়া ও অন্যকে সচেতন করা।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, বাঙালি জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে যারা আমাদের আঘাত করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে দেশের তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ থাকার শপথ আজ এ শরৎ উৎসবের মধ্য দিয়ে গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেমন একাডেমিক দিনপঞ্জি রয়েছে, তেমনি এমন একদিনের প্রত্যাশা রাখি যেদিন একাডেমিক দিনপঞ্জির মতো একটি সাংস্কৃতিক দিনপঞ্জিও থাকবে। সেটিও একাডেমিক দিনপঞ্জির মতো গুরুত্ব পাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস বলেন, সংস্কৃতিও ঋতুর সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন হচ্ছে। ছয়টি ঋতুকে ঘিরে বাংলা যেমন বিভিন্ন সাজে সজ্জিত হয় তেমনি সংস্কৃতির সঙ্গেও ঋতুর একটি যোগসূত্র সংস্কৃতির মাঝে দেখা যায়। নগর জীবনে বাংলাকে ঘিরে এমন আয়োজন যেন গ্রামীণ আবহে নিয়ে যায়। প্রকৃতির রূপ-রস ধরে রাখার জন্য 'জয়ধ্বনি' যে উদ্যেগ নিয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ, জয়ধ্বনি সাংস্কৃতিক সংগঠনের মডারেটর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক দেবপ্রসাদ প্রসাদ দাঁ, সুজন শর্মা, জয়ধ্বনির সভাপতি শাহরিয়ার কবির অপূর্ব ও সাধারণ সম্পাদক পার্থ সাগর।
এসজি