ঢাবিতে শিগগির শুরু হচ্ছে ‘ই-ফাইলিং’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দাপ্তরিক কাজে অধিকতর স্বচ্ছতা ও গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে শীগ্রই ই-ফাইলিং শুরু হতে যাচ্ছে। এটি বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট যাদের ইউজার আইডি থাকবে তারা সহজেই নিজেদের ফাইল ট্র্যাকিং করতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের এই সুবিধা পেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কিংবা বিভাগ যে দফতরের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে, পরবর্তীতে সেখান থেকে ট্র্যাকিং করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আসিফ হোসেন খান জানান, ই-ফাইলিংয়ের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন কর্মকর্তাকে ইউজিসি ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কার্যক্রম দ্রুত এর আওতায় আসবে। ইউজিসির পরিকল্পনা অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিসকে ই-ফাইলিংয়ের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রবীর কুমার সরকার বলেন, ‘ই-ফাইলিং কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিন্তু দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে। তাদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজ পরিচালনা করা হবে সেটিরও মডারেশন করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এখানে স্টেকহোল্ডার অনেক হওয়ায় চাইলেই সব অনলাইন করা যাচ্ছে না। সব ডকুমেন্ট ডিজিটালি সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায়, পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সবাই ভালো সেবা পাবে, যোগ করেন তিনি।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কার্যক্রমকে ইতোমধ্যেই ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ই-নথি কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কাজ আরও গতিশীল হবে ও স্বচ্ছতা আসবে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র থেকে জানা যায়, এখন সফটওয়্যারটা ব্যবহার করা নিয়ে কাজ চলছে। কারণ, এখানে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি নীতিমালাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবহারের উপযোগী করতে কাস্টমাইজ করারও প্রক্রিয়া চলছে।
এমএমএ/