রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাসের চার ট্রিপের বদলে দুই ট্রিপ

লেখা ও ছবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
সম্প্রতি সরকার ঘোষিত নিয়ম মেনে ক্লাস রুটিনে পরিবর্তন এনেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) প্রশাসন। বাস চলাচলের শিডিউলেও এসেছে পরিবর্তন কিন্তু নতুন রুটিন মানতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।
নতুন নিয়ম মেনে সকাল ৮টা থেকে ক্লাস শুরু করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চলছে বিকাল ৩টা পযন্ত।
তবে ছাত্র, ছাত্রীদেরর জন্য বাসের ট্রিপ রাখা হয়েছে মাত্র ২টি।
সকাল সাড়ে ৭টায় ও বিকাল সোয়া ৩টায়।
পুরাতন রুটিনে বাস চলাচলে ৪টি ট্রিপ থাকলেও জ্বালানী সাশ্রয়ের জন্য বর্তমানে ২টি ট্রিপ কমিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে নতুন রুটিন মানতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।
তাদের দাবি, আমাদের অনেকের ক্লাস দুপুর একটার মধ্যেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকের বাসা দূরে আবার অনেককে দূরে যেতে হয় টিউশন করাতে। আমাদের বেশিরভাগ ছাত্র, ছাত্রীর যাতায়াতের মূল বাহন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। ফলে যেতে না পারলে কাজে, বাসায় বা মেসে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু এই বিষয়ে কোনো সুনজর নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাজিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই শিডিউলে বাস থাকা আর না থাকা এক কথা। একজন শিক্ষার্থীর জীবনে সময়ের যথেষ্ট মূল্য আছে। সাধারণ ছাত্রদের বিপদে ফেলা কোনোমতেই যুক্তিযুক্ত হচ্ছে না। বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয় করতে চাইলে ডিপার্টমেন্টগুলোর এসিগুলো ফুলটাইম বন্ধ রাখুক প্রশাসন।’
লোক প্রশাসনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী আকলিমা তাসনিম বলেন, ‘গতকাল সকাল ১০টা থেকে ক্লাস ছিল। ব্যবহারিক ক্লাসও ছিল। কোনোটাতেই উপস্থিত হতে পারিনি। এত দূর থেকে কীভাবে যাব? রিকশা করে গেলে ৫০ টাকা শুধু যেতেই লাগবে। আমার মতো আরও কত ছাত্র-ছাত্রী আছে, যারা ক্লাস করতে পারছে না। প্রশাসনের তো কোনো মাথাব্যথা নেই। বাস ট্রিপ কমিয়ে দিয়ে ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক মোকছিদুল হক বলেছেন, ‘জ্বালানি সাশ্রয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিধি মোতাবেক আমরা সাময়িকভাবে দুইটি ট্রিপ কমিয়ে দিয়েছি। একই সময়ে ক্লাসের রুটিন পরিবর্তন ও বাস চলাচলের শিডিউল পরিবর্তন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সমস্যাটি হচ্ছে। তবে দ্রুত সঙ্কট কাটিয়ে উঠবো।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. সুলতান-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘অনেক দিন ধরে একটা নিয়ম ছিল। হঠাৎ পরিবর্তন হয়েছে। এতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, সে তথ্য আমাদের কাছে এসেছে। তবে কিছু দিন গেলে আশা করি সমস্যাটির সমাধান হয়ে যাবে।’
ওএফএস।
