রাজশাহীর বরেন্দ্র জাদুঘর ঘুরলেন ইরানের ড. এম. কাজেম কাহাদুয়ি

লেখা ও ছবি : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত বাংলাদেশের প্রথম জাদুঘর ‘বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর’।
শহরের কেন্দ্রের অন্যতম সেরা জাদুঘরটি ঘুরে দেখেছেন ইরানের ইয়াজদ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরা প্রবীণ অধ্যাপক ড. এম. কাজেম কাহদুয়ি।
ইরানের মানুষদের ভাষা ফাসি বা পার্সি। তাদের রয়েছে অনন্য সাংস্কৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্য।
ইয়াজদ ইউনিভার্সিটি একটি সরকারী গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। মধ্য ইরানের ইয়াজদ প্রদেশে অবস্থিত। ব্যাপকভাবে উচ্চতর শিক্ষা ও গবেষণা প্রদান করা হয় ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর প্রথম প্রতিষ্ঠিত মহাবিদ্যালয়ে। চারটি ক্যাম্পাস আছে ও দুটি স্বায়ত্বশাসিত বিদ্যালয় রয়েছে। সবগুলোই কাছাকাছি। ৪০টি ক্ষেত্রে ২৯টি বিভাগের অধীনে ১৪ হাজারের বেশি নিয়মিত ছাত্র, ছাত্রীকে বিএসসি, এমএসসি ও পিএচডি প্রদান করেন তারা।
আজ বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর সকালে বরেন্দ্র জাদুঘর ঘুরেছেন তাদের অধ্যাপক ড. এম. কাজেম কাহাদুয়ি। তিনি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ-পার্সিয়ান ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক
তিনি পরিদশন বইতে নিজের মন্তব্য ব্যক্ত করেছেন।
ড. এম. কাজেম কাহাদুয়ির সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা অধ্যাপক ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ছিলেন।
তিনি তাকে বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও বর্তমান অবহিত করেছেন।
ফার্সি ভাষার নামকরা এই অধ্যাপক ও গবেষক জাদুঘরের প্রত্নতত্ব ও শিল্প গ্যালারি দেখে চমকে গিয়েছেন।
প্রাচীন পার্সি পান্ডুলিপিগুলো তার জ্ঞানের প্রতি ভালোবাসাকে উসকে দিয়েছে। তিনি নানা সময়ে প্রাপ্ত এবং সংগৃহীত পার্সি শিলালিপিগুলোর অন্যতায় গভীর ভালোবাসা বোধ করেছেন। তিনি সেখান থেকে অনেক কিছু জেনেছেন।
মানবেতিহাসের অমূল্য সম্পদরাজিগুলোকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অনুবাদে সহযোগিতা প্রদানে আকাংখা প্রকাশ করেছেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ইয়াজদ ইউনিভার্সিটি, ইরানের খ্যাতনামা অধ্যাপক তাদের পারস্পরিক শিক্ষা, গবেষণা ক্ষেত্রে সহযোগিতার আলোচনা করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা একমত হয়েছেন। তারা আগামীতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষক বিনিময় এবং যৌথ গবেষণা কার্যক্রমের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর সফরের সময় ইরানের এই খ্যাতিমান অধ্যাপক এবং গবেষকের সঙ্গে অ্যাকাডেমিক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সালাম, সিন্ডিকেট সদস্য মো. সফিকুজ্জামান জোয়ার্দার, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক ও সাংবাদিকতার অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে অংশগ্রহণ করেছেন।
ইরানের ইয়াজদ ইউনিভাসিটির অধ্যাপক ড. এম. কাজেম কাহাদুরিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে আতিথেয়তা করেছেন ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ওসমান গনি ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ. আর. এম. আবদুল মজিদ। বিভাগ ও জাদুঘরের পন্ডিতরা এসময় ছিলেন।
ওএফএস।
