ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: ৭২ জনকে আসামি করে মামলা

রাজধানীর ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়েছে। বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দিন (২২) । তিনি দক্ষিণায়ন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
একটি বিশ্বস্ত সূত্র ঢাকাপ্রকাশ-কে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- শাহরিয়ার হাসনাত জিয়ন (২৫), রফিকুল ইসলাম বাবু (২৫), হেলাল (২৪), মাসুম (২৮), জনি হাসান (৩১), তানিম (২৭), শফিক (২৮), ইকরাম (২৮), দ্বীন মুহাম্মদ (২২), মমিন আদনান সূর্য (২৮), তিতাস (৩০), আতিকুজ্জামান রানা (২৯)। এছড়া অজ্ঞাতনামা হিসেবে রয়েছেন ৬০ জন।
মামলার এজাহারে নাসির উল্লেখ করেন, গত ১ সেপ্টেম্বর দুপরে ঢাকা কলেজের ক্যাফেটারিয়াতে খাবার খাচ্ছিলাম তখন শাহরিয়া হাসনাত জিলানের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ টাকা না দিয়ে ক্যাফেটেরিয়ায় বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করে এবং ক্যাফেটেরিয়ায় তালা দিয়ে চলে যায়। তাৎক্ষণিক আমিসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে জিয়ন আমাকে যেখানে পাবে সেখানে দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করে। একইদিনে রাত ১১টার সময়ে ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের ইমদাদ হোসেন (২২) এবং হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শফিকুর রহমান (২২) ও আমি (নাসির) মুরগি পট্টির দক্ষিণ পাশের দোকানে চা পান করতে যাই। চা পান করার সময়ে জিয়নসহ ১৫/২০ জন এসে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই পূর্বের ঘটনার জের ধরে হত্যার উদ্দেশে আমার কপালের বাম পাশে চোখের উপর রামদা এবং কাঠের স্ট্যাম্প দিয়ে আমার বাম পায়ে এলোপাথারি মারধর করে। আমার সঙ্গে থাকা ইমদাদ হোসেনের মাথার পিছনের বাম পাশে আঘাত করে এবং শফিকুর রহমানকে মাথার সামনের বাম দিকে আঘাত করার চেষ্টা করলে সে সরে যায়। এছাড়া উপরে উল্লিখিত আসামিরা স্টাম্প দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে ভবিষ্যতে আরো মারধর করার হুমকি প্রদান করে চলে যায়। তাদের আঘাতে আমরা তিনজন গুরুতর অসুস্থ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করি।'
এজহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ৩ সেপ্টেম্বর সাড়ে আটটার সময় আমার অন্য সহপাঠী আল আমিন (২২) কে ২ নম্বর গেইট দিয়ে কলেজের ভিতরে প্রবেশ করাকালে রিডিং রুমের সামনে রাস্তার উপর আগে থেকেই অবস্থান করা জনি হাসান ও তানিমের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন মিলে হাতে থাকা লোহার রড, স্টীলের পাইপ ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাথারি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করে এবং তার ব্যবহৃত হুয়াওয়ে স্মার্ট মোবাইল ফোন যার আনুমানিক মূল্য ২৭,০০০ টাকা এবং মানিব্যাগে থাকা ২৫০০ টাকা চুরি করে নিয়ে নেয়।
এরপর একইদিন রাত ৯টার সময়ে কলেজের দক্ষিণ গেইটের পাশে চায়ের দোকানের সামনে হেলাল, জনি হাসান, ইকরাম, তিতস ও অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন মিলে হত্যার উদ্দেশে অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে মাহবুব ইসলাম (২৪), অন্তু মজুমদার (২০),শাকিল আহমেদ (২৩) এবং হাবিবুল্লাহ (২২) কে গুরুতর মারধর করে আহত করে। আহতদের চোখ ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এসআইএইচ
