ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫

ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত পাঁচজন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন বলে জানা গেছে।
ঢাকা কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার পরিবেশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ছাত্রলীগের এক গ্রুপের হামলায় শাহরিয়ার হাসনাত জিওন নামের আরেক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন-অন্তু (২৩), ফরহাদ (২৪), শাকিল (২৪), জুয়েল রানা (২৫) ও আলামিন (২৩)। এরা সকলেই প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে ঢাকা মেডিকেলে এসেছে।
নিউমার্কেট থানায় ডিউটিরত কর্মকর্তা মোঃ মেহেদী হাসান ঢাকাপ্রকাশ-কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা শুনেছি ঢাকা কলেজে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। আমাদের তদন্ত ওসি এবং অপারেশন ওসি স্যার ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এখনো কোনো টিম ফেরত আসেনি।
দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির বিষয়ে জানতে চাইলে মেহেদী হাসান বলেন, এখনও গোলাগুলির তেমন কোন সংবাদ পাইনি। বিস্তারিত পরে বলতে পারব।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতের ওই হামলার ঘটনার পর থেকে গতকাল ও আজ ক্যাম্পাস উত্তপ্ত ছিল। সন্ধ্যার দিকে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করলে কলেজের নর্থ এবং সাথদার্ন হোস্টেলের ছাত্রলীগ কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও থেমে থেমে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ২ হোস্টেল থেকেই গুলি ছোড়ার আওয়াজ পাওয়া যায়।
তবে গুলি বিনিময়ের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, 'ক্যান্টিনের খাবার নিয়ে একজনের উপর হামলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের ২ পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। এ ঘটনায় আজ সাউদার্ন হোস্টেলের এক শিক্ষার্থীকে নর্থ হোস্টেলের শিক্ষার্থীরা মারধর করে। পরে এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে গুলি বিনিময় হয়নি। শুনেছি, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
অধ্যক্ষ আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত আছে। নর্থ হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক ওবায়দুল করিম এবং সাউদার্ন হোস্টেলের তত্ত্বাবধায়ক আনোয়ার হোসেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেছেন, 'উত্তেজনার খবর শুনেছি। তাদের শান্ত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধীদের স্থান ছাত্রলীগে হবে না।
কেএম/এসআইএইচ
