রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মুখ থুবড়ে পড়েছে কেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা?

প্রাচ্যের কেম্ব্রিজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণাখাতে এখন নিভু, নিভু। কেন? লিখেছেন মাহমুদুল হাসান

প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অভাবে এবং অকেজো যন্ত্রপাতির কারণে গবেষণায় পিছিয়ে পড়ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কোনোমতে গবেষণা চালিয়ে নিচ্ছেন তারা। আবার অন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দারস্থ হতে হচ্ছে তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রকৌশল, বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, কৃষি, মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদসহ বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি বিভাগের ল্যাবগুলোতে অধিকাংশ যন্ত্রাংশ অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।

অধিকাংশ বিভাগের ল্যাবগুলোতে নেই প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল ও যন্ত্রপাতি। ফলে থিসিসসহ গবেষণাধর্মী সকল কাজেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের বিভাগের ল্যাবের মাইক্রোটোম মেশিনগুলো ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় কাক্সিক্ষত রিবন পাওয়া যায় না। যে রিবন আসে, সেটা মাইক্রোস্কোপে দেখার সময় টিস্যুর ক্রাইটেরিয়াগুলো বোঝা যায় না। দেখা যায়, রিবন এসেছে কিন্তু কুঁচকে গিয়েছে। ল্যাবে যতগুলো মাইক্রোস্কোপ মেশিন আছে, সবগুলোরই কার্যক্ষমতা কম। ফলে ভালোমতো কাজ করা যায় না এগুলোতে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা অনেক ইনস্ট্রুমেন্টের অভাবে থিসিসের কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেন না। আমাদের মাস্টার্সের ছয়টা ব্রাঞ্চের মধ্যে দুই-তিনটির ইনস্ট্রুমেন্ট মোটামুটি ভালো হলেও বাকিগুলোর একেবারেই চলে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো বিভাগের ল্যাব ইনস্ট্রুমেন্টের সাহায্য নিতে হয়। এমনকি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বা সরকারি কোনো গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে গিয়েও কাজ করা লাগে আমাদের। তাতে অর্থ ও সময় দুটোরই অপচয় হয়।’

অ্যাগ্রোনমি অ্যন্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের ছাত্র আব্দুল মাজেদ হাওলাদার বলেছেন, ‘প্রতিটি বিভাগের জন্য আলাদা ল্যাব থাকার কথা থাকলেও আমাদের বিভাগে ওরকম পৃথক ল্যাব নেই। আমাদের শুধু প্যাথলজি ল্যাবই আছে। এজন্য স্নাতকের শিক্ষার্থীরা পর্যাপ্তভাবে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি না। যেগুলো না দেখালেই না, স্যাররা সেই কাজগুলো দেখিয়ে দেন। মাস্টার্সের ল্যাবের কাজগুলোর জন্য আমাদের অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট বা সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ক্লাসরুমে ক্লিন বেঞ্চ থাকে, কিন্তু সেটি ল্যাবে থাকার কথা। পর্যাপ্ত পরিমাণে কেমিক্যাল থাকে না, রুমের সংকট আছে। প্রয়োজনীয় সবগুলো যন্ত্রপাতি নেই। আবার মৌলিক যে কয়টা যন্ত্র আছে, সেগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। এজন্য সিনিয়ররা কাজ করলে জুনিয়ররা আর কাজ করার সুযোগ পায় না।’

পর্যাপ্ত যন্ত্রাংশ এবং কেমিক্যালের অভাবে শিক্ষার্থীদের উন্নত দেশের মতো গবেষণা সুবিধা দিতে পারছেন না জানিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক এবং মাছ গবেষক ড. ইয়ামিন হোসেন বলেন, ‘যেখানে প্রতিনিয়ত গবেষণার ধরণ পাল্টাচ্ছে, সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সকল বিভাগের ল্যাবগুলোর কোনোটাতে কেমিক্যাল সংকট আবার কোনোটাতে যন্ত্রাংশ থাকলেও সেগুলো সচল করার মতো ফান্ড নেই। ফলে শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তাদেরকে আমরা উন্নত দেশের মতো গবেষণা সুবিধা দিতে পারছি না।’

বিশিষ্ট গবেষক ‘দ্য ওয়ার্ল্ড একাডেমি অব সায়েন্সেস (টোয়াস)’ সদস্য এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘গবেষণাগারগুলোতে যন্ত্রাংশের সংকটের ফলে শিক্ষার্থীদের গবেষণা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি যে সকল শিক্ষকরা গবেষণার করেন তারাও অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন এখানে। আমাদের যে গবেষণা অনুদানগুলো দেওয়া হয়, প্রায় পুরোটাই কেমিক্যাল ও গবেষণার সরঞ্জাম কিনতেই ব্যয় হয়ে যায়। প্রতিটি ল্যাব চালাতে গেলে একটি রানিং কস্ট ও মেইনটেনেন্স কস্ট লাগে কিন্তু গবেষণা অনুদানে বা প্রকল্পে এই কস্টগুলো উপেক্ষিত থেকে যায়।’

তিনি বলেন, ‘গবেষণার সকল ধরণের সংকটের বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নজর দেওয়া উচিত। গবেষণাগারগুলো দেখভাল করার জন্য কিছু প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষের দরকার। অনেক গবেষণার কার্যক্রম এখানেই হওয়ার কথা থাকলেও প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের সংকটের ফলে শিক্ষার্থীদের ঢাকা গিয়ে অথবা বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণাগারে গিয়ে গবেষণা কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। সেখানেও যে তারা খুব ভালো সেবা পাচ্ছে এমনটিও না।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, “কোনো বিভাগের ল্যাবের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কোনো যন্ত্রপাতি অকেজো থাকলে বা না থাকলে, সংশ্লিষ্টরা আমাদের জানালে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারব। আমরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বৃহত্তর গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বিসিএসআইআর’-এর সাথে ‘এমওইউ’ স্বাক্ষর করেছি। এখন গবেষণা সংশ্লিষ্টদের জন্য ‘বিসিএসআইআর’ থেকে আমরা সহজেই সহায়তা নিতে পারব।”

ওএফএস।

Header Ad
Header Ad

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হায়দরাবাদে শনিবার (২০ এপ্রিল) এক বিশাল গণবিক্ষোভের আয়োজন করে অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ড (AIMPLB)।

এই আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM) দলের প্রধান এবং হায়দরাবাদের প্রভাবশালী মুসলিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি। তিনি এই আইনকে “সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে” উল্লেখ করে বাতিলের জোর দাবি জানান।

“এই আইন আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে। যতদিন না এটি বাতিল করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চলবে,”— বলেন ওয়াইসি।

তিনি আরও জানান, ওয়াকফ বোর্ডে অ-মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তির সুযোগ সৃষ্টি করায় মুসলিম সমাজে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে এবং তা মেনে নেওয়া যায় না।

সম্প্রতি পাস হওয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইন অনুসারে, অ-মুসলিমদেরও ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য করা সম্ভব হতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই এই বিরোধের সূত্রপাত। এই আইনকে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছেন মুসলিম নেতারা।

এই ইস্যুতে ইতোমধ্যেই ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে। আদালতে সরকার জানিয়েছে, মে মাসে মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত অ-মুসলিমদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।

 

ছবি: সংগৃহীত

ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ ঘিরে পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে।

বিরোধীদের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও বিলটি ভারতের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে পাস হয়েছে। আন্দোলন এখন হায়দরাবাদ ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানায়, মুসলিম পার্সোনাল ল’ বোর্ডের আহ্বানে এবং ওয়াইসির নেতৃত্বে এই আন্দোলন ক্রমেই সারা ভারতব্যাপী শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলনের রূপ নিচ্ছে।

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বিরাজ করছে, তা শুধু রাজনৈতিক নয়, ধর্মীয় এবং সাংবিধানিক অধিকার নিয়েও গভীর প্রশ্ন তুলেছে। এখন দেখার বিষয়, আদালতের রায়ে এবং গণআন্দোলনের চাপে সরকার কী পদক্ষেপ নেয়।

সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড

Header Ad
Header Ad

ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। রোববার (২০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১২টার দিকে গরম পানির গলির একটি বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

দগ্ধরা হলেন- কুলসুম আক্তার (২৫), রিয়াজ হোসেন (২১), কামরুন্নেসা রোজিনা (৪৫)। তাদের সবার বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রায়পুরা উপজেলায়। বর্তমানে ফকিরাপুল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ইব্রাহিম খলিল বলেন, আজ দুপুরের দিকে রান্না করার সময় বিস্ফোরণে আহত হন তারা। পরে আমরা প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে নিয়ে আসি। বর্তমানে জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, আজ দুপুরের দিকে ফকিরাপুল থেকে দগ্ধ অবস্থায় নারীসহ তিনজনকে বার্ন ইউনিটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে। দগ্ধের পরিমাণ পরে জানাবে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানিয়েছি।

Header Ad
Header Ad

আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা

ছবি: সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ ভেঙে সেখানে ইহুদি মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা করছে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ বসতিস্থাপনকারীরা। হিব্রু ভাষার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে এ নিয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করছে তারা। বিষয়টি সামনে আসতেই ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র ও প্রবাসী মন্ত্রণালয় এ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

শনিবার (১৯ এপ্রিল) এক্স প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ফিলিস্তিনি মন্ত্রণালয় জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আহ্বান জানিয়েছে। তারা জানিয়েছে, এ পরিকল্পনাকে তারা ইসলামিক এবং খ্রিস্টান পবিত্র স্থানগুলোর বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘পদ্ধতিগত উসকানি’ হিসেবে দেখছে।

জেরুজালেমের ‘স্ট্যাটাস কু’ অনুযায়ী, আল-আকসা প্রাঙ্গণে অমুসলিমদের প্রার্থনা নিষিদ্ধ হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে ইহুদিদের প্রবেশ এবং ধর্মীয় কার্যক্রম বেড়েছে। এখন তারা সেখানে থার্ড টেম্পল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে অন্তত ৬৪ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের অধিকাংশই গাজা সিটি ও উত্তর গাজার বাসিন্দা। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) বর্তমানে রাফা শহরের কাছে ঘাঁটি গেড়ে সামরিক তৎপরতা চালাচ্ছে।

হামাস জানিয়ে দিয়েছে, তারা আর কোনও অন্তর্বর্তী যুদ্ধবিরতিতে রাজি নয়। সংগঠনের সিনিয়র নেতা খলিল আল-হায়া শুক্রবার এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, তারা একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির ভিত্তিতেই আলোচনা করতে চায়, যার আওতায় গাজা যুদ্ধের অবসান, ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি এবং গাজার পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি সরকার নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে আংশিক চুক্তিগুলো ব্যবহার করছে এবং সব জিম্মিকে বলি দিতে প্রস্তুত।

ইতোমধ্যে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত দেড় বছরে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫১ হাজার এবং আহতের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজারে পৌঁছেছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে, কারণ অনেকেই এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে।

এই অব্যাহত মানবিক সংকটে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে, তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা এখনো দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: রয়টার্স, আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা: ট্রাইব্যুনালে সালমান, আনিসুল, দীপু মনি, পলকসহ ১৯ জন
বিচার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
হাতিরঝিলে যুবদল নেতার ওপর হামলা, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে
আপিল বিভাগে নতুন দুই বিচারপতিকে সংবর্ধনা
বিয়ের আসরে কনের বেশে শাশুড়ি, থানায় হাজির বর
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ, রাস্তায় হাজারো মানুষ
সিলেট টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সারা দেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাড়বে তাপমাত্রাও