কোরিয় বর্ণমালার আবিষ্কারকের নামে আইইউবিতে ‘কেএসআইএফ’ ইনস্টিটিউট
লেখা ও ছবি : ফিচার ডেস্ক।
‘কিং সেজুং ইনস্টিটিউটে’ হলো কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটগুলোর ব্র্যান্ড নাম। এ নামেই দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ২০০৭ সাল থেকে বিশ্বের নানা দেশে তাদের ভাষা শেখানোর প্রতিষ্ঠানগুলো চালু করছেন। কোরিয় বর্ণমালার আবিস্কারক সেজুং দি গ্রেটের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম রাখা হয়েছে।
২০২১ সালের জুন মাসের হিসেবে, দক্ষিণ কোরিয় সরকারের উদ্যোগে ও নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাহায্যে মোট ৮২টি দেশে ২শ ৩৪টি কিং সেজুং ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এই বিশ্ববিখ্যাত ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালু করবে বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারী শিক্ষা ও গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় ‘আইইউবি (ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনির্ভাসিটি, বাংলাদেশ)’।
ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জাং কিউন উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসানের কাছে প্রয়োজনীয় সনদ প্রদান করেছেন।
‘কিং সেজুং ইনস্টিটিউটে’ বা ‘কিং সেজুং ইনস্টিটিউট’ সংক্ষেপে ‘কেএসআই’ নামে খ্যাত এই উচ্চতর ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে আইইউবি। একটি বৈশ্বিক মযাদাপূর্ণ ভাষা ও সাংস্কৃতিক প্রসারণ কার্যক্রম। ‘দি কি সেজুং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশন (কেএসআইএফ)’ হস্তান্তর করেছে তাদের ‘কেএসআইএফ’ সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষমতাও।
ড. তানভীর হাসান এ বছরের ৯ আগষ্ট এই অর্জিত ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন সিউলে একটি অনুষ্ঠানে। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের এজন্য ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ অনুদান লাভ করেছে আইইউবি।
অনুদানের অর্থে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ‘কোরিয়া কর্নার’ স্থাপনের কাজ চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক সম্পৃক্ততা কর্মকৌশলের অংশ হিসেবে।
কিং সেজুং ইনস্টিটিউটে কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভিন্ন উপকরণ থাকবে, সবার জন্য উন্মুক্ত।
ইনস্টিটিউট স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সম্পন্ন করেছে। ফলে সরাসরি কোরিয়ান ভাষাভাষীদের কাছ থেকে ভাষা শেখার সুযোগ তৈরি হবে আইইউবির ছাত্র, ছাত্রী ও নির্দিষ্ট আসনে ভর্তি হওয়া বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য। তারা বিশ্বের অন্যতম উন্নত দেশে শিক্ষা, গবেষণা, চাকরি ও ভ্রমণের জন্য যেতে পারবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-কিউন বলেছেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, আমাদের দীর্ঘদিনের অংশীদার বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ‘আইইউবি-ইনডিপেনডেন্ট ইউনির্ভার্সিটি, বাংলাদেশ'-এই দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে আমাদের বর্ণমালা ও সংস্কৃতি জানার জন্য ‘কিং সেজুং ইনস্টিউট’ স্থাপন করতে যাচ্ছে।”
তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশে আমাদের কোরিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতির বিকাশে আইইউবি এক দশক ধরে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করে আসছে।'
বাংলাদেশে কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ‘আমি আশা করি, কিং সেজুং ইনস্টিটিউট স্থাপনের মাধ্যমে দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।’
আইইউবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসান বলেছেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কিং সেজুং ইনস্টিটিউট’ স্থাপনের সুযোগ একটি সম্মান। আইইউবির ‘গোয়িং গ্লোবাল’ বা ‘বিশ্ব নাগরিক হয়ে ওঠো’ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ‘কমিউনিটি এনগেজমেন্ট’ বা ‘সামাজিক সম্পৃক্ততা’ কর্মকৌশল কার্যক্রমের অন্যতম অংশ এই কাজ।”
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমাদের অন্যতম লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদেরকে সচেতন বিশ্ব নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা। যেজন্য মাতৃভাষা এবং ইংরেজি ছাড়াও অন্য ভাষার জ্ঞান প্রয়োজন। কিং সেজুং ইনস্টিটিউট চালু হলে তাদের পাশাপাশি সবার জন্য সহজে কোরিয়ান ভাষা শেখার সুযোগ তৈরি হবে।’
ছবি : কোরিয় বর্ণমালার জনক কিং সেজুং’র দক্ষিণ কোরিয়াতে আবক্ষ মূর্তি ও আইইউবি’র কিং সেজুং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশনের সিউলের অফিসে আইইউবি উপাচার্যের সম্পন্ন কার্যক্রম।
ওএফএস।