তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের মনের ক্ষোভ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে

লেখা ও ছবি : বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জীবনে বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ‘প্রমোশন’ ও ‘আপগ্রেডেশন’-এ বৈষম্য দেখা দিয়েছে।
নীতিমালায় একই শর্তপূরণ স্বাপেক্ষে নতুন যোগদানকারীরা চাকুরি জীবনে চারবার পদোন্নতির সুযোগ পাচ্ছেন।
আগে যারা যোগ দিয়েছেন, জ্যেষ্ঠতার নীতিমালায় তারা প্রমোশন লাভ করছেন তিনবার।
ফলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তৃতীয় শ্রেণীর জনবল নিয়োগ ‘বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ (বার, বার উন্নতিকরণ সপেক্ষে)’-এ বলা আছে, ‘কোনো ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী নির্ধারিত যোগ্যতা পূরণ করতে না পারলে চাকরি জীবনে নবম গ্রেডের উর্ধ্বে উঠতে পারবেন না।’
এই গ্রেড থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি বিধিমালা, সরকারের জনপ্রশাসন নীতিমালার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রথম শ্রেণী। ফলে তৃতীয় ও চতুর্থ এবং মস্টার রোলে চাকরি করা কর্মচারীরা যথেষ্ট উন্নতি লাভ করতে পারছেন না।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমসাময়িক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে সংকট আরো প্রবল। ভয়াবহ ঝুঁকিতে আছে ঢাকার বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্রের বহু পুরোনো এই মহাবিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে আছে, ‘কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেকোনো পদোন্নতি বা আপগ্রেডেশন সর্বোচ্চ রেজিস্ট্রার বা সমমান পর্যন্ত সীমাবদ্ধ।’
‘রেজিস্ট্রার’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রশাসনিকভাবে প্রথম কটি পদের একটি। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে ‘পঞ্চম’ গ্রেডের সমমান। অত্যন্ত সম্মানীয় পদ। অনেক সুবিধা আছে।
সবখানেই জ্যেষ্ঠ্য কর্মচারীদের জুনিয়রদের মতো প্রমোশন লাভ করতে না পারা ও সুযোগ, সুবিধা না পাওয়ার বঞ্চনা আছে। তাছাড়াও তারা এই আফসোসে ভোগেন, কেউ, কেউ তাদের তৃতীয় ও দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে মনে করেন কখনো, কখনো। ফলে তাদের মন খারাপ থাকে। মেজাজ বিগড়ে যায়। হতাশা তৈরি হয়।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. হুমায়ুন কবির তার ছাত্র সাংবাদিককে বলেছেন, ‘কোথাও বৈষম্যের কোনো সুযোগ নেই। তাদের চাকরি জীবন শৃঙ্খলার মধ্যে আনতেই এই সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।’
তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ক্রমে আবাসন সুবিধা আছে। তারা ছেলেমেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল কলেজে কোটাভিত্তিতে ও যোগাযোগের মাধ্যমে পড়ালেখা করাতে পারেন। ভালো ও উন্নত পরিবেশ লাভ করে তাদের পরিবার। তারা যাতায়াত ও অন্যান্য প্রাপ্য মানবিক সুবিধাদি লাভ করেন। তাদের ছেলে, মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি লাভ করে আভ্যন্তরীণ প্রার্থী হিসেবে। ছাত্র, ছাত্রীদের কাছ থেকে তারা সম্মান লাভ করেন। শিক্ষকরা তাদের আদর করেন। সম্মান করেন।
ছবি : কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি আর্ট অ্যান্ড ফটোগ্রাফি ক্লাব।
ওএফএস।
