নতুন ও পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থাগার ভবন হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগরে

লেখা ও ছবি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
বাংলাদেশের একমাত্র আবাসিক ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এর জন্য ‘নতুন গ্রন্থাগার ভবন তৈরি’র জন্য বর্তমান গ্রন্থাগারটি ভেঙে ফেলা হবে।
এই অবস্থায় আজ বুধবার নানা প্রয়োজনীয় দাবীতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেলের উপস্থিতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলমের হাতে স্মরকলিপি জমা দিয়েছেন সাধারণ ছাত্র, ছাত্রীরা।
তাদের দাবীগুলোর মধ্যে আছে-
১. পড়ালেখার বিকল্প ব্যবস্থা না করে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির চেয়ার, টেবিল ফ্যান, লাইট শিফট করা যাবে না।
২. বিকল্প তৈরি করে নব গ্রন্থাগার ভবনের কাজে হাত দিতে হবে।
৩. নতুন ভবনের প্রতিটি টেবিলে এসি, কারেন্ট না থাকলে আলো-বাতাসের পযাপ্ত ও পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৫. রাতে পড়ালেখার জন্য সম্পন্ন জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৬. নিরিবিলি পড়ালেখার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
৭. সুপেয় পানীয় জল ও সবার বসার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
৮. পয়নিস্কাষণের পূণাঙ্গ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। ওয়াশ রুম উন্নত মানসম্পন্ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে হবে। হাইজিন মেনটেইন করতে হবে।
৮. শিক্ষকদের বসার ও পড়ালেখার ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৯. খাবারের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
এ সময় ছাত্রলীগের শাখা আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেছেন, ‘বিকল্প ব্যবস্থা না রেখে নতুন গ্রন্থাগার তৈরিও সম্ভব নয়। ফলে আমাদের পড়ালেখার ক্ষতি হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘যারা গ্রন্থাগারে নিয়মিত পড়তে যায়, তারা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের বক্তব্য শুনেছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছি আমরা।’
আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেছেন, ‘আমাদের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নুরুল আলমের হাতে দাবীগুলো গণস্বাক্ষরসহ প্রদান করা হয়েছে।’
অধ্যাপক ড. ড. নূরুল আলম বলেছেন, ‘আমি বিকল্প ব্যবস্থা না করে জাহাঙ্গীরনগরের জন্য নতুন ও পূর্ণ গ্রন্থাগার ভবন তৈরির কাজে হাত দেব না। আমি তাদের পড়ালেখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তাদের প্রতিটি দাবী অত্যন্ত ভালো। সেগুলো পূরণ করা হবে। আমরা অন্য সুবিধাগুলোও তৈরি করে দেব।’
ওএফএস।
