‘বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই’

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বাঙালির শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী হত্যাকান্ডগুলোতে বাংলাদেশের মানুষ হারান স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের প্রায় সব সদস্যকে।
১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের এমন রাজনৈতিক শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেছে ‘পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’।
দিনের শুরুতেই পুরো ক্যাম্পাসের সব ভবন ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শোকের কালো পতাকা ওড়ানো হয়েছে ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কালো ব্যাচ পরেছেন।
সকাল সাড়ে নয়টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোক র্যালি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। বঙ্গবন্ধুর জম্মশতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল ‘জনক জ্যোতির্ময়’র সামনে আসে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবার ও সকল শহিদের স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান ও রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্ম।
তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়েছে।
শ্রদ্ধার্ঘ্য শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, ‘২৪ বছর আন্দোলনের মাধ্যমে পাকিস্তানীদের হাত থেকে নিপীড়িত বাংলাদেশীদের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের উন্নয়নে ক্ষমতায় থেকে রাত, দিন কাজ করছিলেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধু, বেগম ফজিলাতুন নেছাসহ তার পরিবারের সদস্যদের দুই মেয়ে বাদে হত্যা করে। পৃথিবীর ইতিহাসের জঘন্য, নৃশংস, বর্বরোচিত হত্যকান্ডগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকেও মুুছে দিতে চেয়েছিল। দেশকে পিছনের দিকে নিতে চেয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর তো মৃত্যু নেই। তার আদর্শ আজ প্রতিটি বাঙালির ঘরে, ঘরে। বাঙালির সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ এই শেখ মুজিবুর রহমান। আসুন আমরা সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে এগিয়ে নেব।’
তিনি বলেছেন, “ছাত্র, ছাত্রীদের সবাইকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। দেশ গঠনে বাংলাদেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তবেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন-সোনার বাংলা হবে ‘বাংলাদেশ’। উন্নত আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার কারিগর হবে তোমরা। জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব আমরা।”
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. মোস্তফা কামাল খান বলেছেন, “আজকে বাঙালির শোকের দিন। ইতিহাসের কলঙ্কিত একটি দিন। আজকের দিনে ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের বাংলাদেশকে কান্নায় ভাসিয়েছিল খুনিরা। পৃথিবীর ইতিহাসেও একটি অন্ধকার দিন। বঙ্গবন্ধুু বেঁচে আছেন বাংলার মাটি ও মানুষের মাঝে। সারা পৃথিবীর নির্যাতিত আর মুক্তিকামী মানুষের জীবনে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শও আমাদের সামনে রয়েছে। তাঁর আদর্শকে ধারণ করে আমরা এগিয়ে যাব। তার আদর্শের প্রধান বাহন শেখ হাসিনা। জননেত্রীর নেতৃত্বে সুখী, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলব।’
বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সব অনুষদের ডিন, সব বিভাগের চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রশাসন, শেখ হাসিনা হল প্রশাসন, প্রক্টর অফিস, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ, পরিবহন পুল, কর্মচারী সমিতিসহ সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
বাঙালির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করেছেন তারা।
বাদ যোহর পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ হয়েছে।
লেখা ও ছবি : জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
