চুয়েটের বঙ্গবন্ধু স্মরণ
লেখা ও ছবি : জনংযোগ বিভাগ।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) আজ ১৫ আগস্ট, সোমবার, ২০২২ বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মযাদায় পালন করেছে।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে, সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করার মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচীর শুরু করেছেন ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন চুয়েট মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ক্বারী নুরুল্লাহ।
এরপর এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
স্বাধীনতা চত্বর সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম ছিলেন। বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, ইনস্টিটিউট পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, সেন্টার চেয়ারম্যানগণ, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ও প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদ, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।
চুয়েট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বাদ আছর বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
স্বাধীনতা চত্বর এলাকায় স্মারক বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে।
সকাল সাড়ে নয়টায় প্রশাসনিক ভবনের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনা সভায় সঞ্চালক ছিলেন ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সম্পদ ঘোষ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এ.টি.এম. শাহজাহান। ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম সভাপতিত্ব করেছেন।
প্রধান অতিথি চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলছেন, “বঙ্গবন্ধু অবহেলিত ও শোষিত বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন। অথচ তাকেই প্রাণ দিতে হয়েছে।’
‘দেড় দশক আগেও বাংলাদেশ একটি দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত ছিল। সেই দৈনদশা থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে গিয়েছে।’
‘আপন দেশকে শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেলে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানিয়েছেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সঙ্কট মোকাবেলায় দেশের সীমিত সম্পদের সুষম ব্যবহার ও টেকসই উন্নয়নের পথে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে লক্ষ্যে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।’
আলোচনা করেছেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. সুনীল ধর, পুরকৌশল অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হাছান ও অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
বিভাগীয় প্রধানগণের পক্ষে যন্ত্রকৌশলের প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান বক্তব্য দিয়েছেন।
প্রভোস্টগণের পক্ষে শহীদ মোহাম্মদ শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রনজিৎ কুমার সূত্রধর আলোচনা করেছেন।
‘চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম আলোচনা করেছেন।
কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আমিন মোহাম্মদ মুসা, স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন বক্তব্য দিয়েছেন।
ছাত্র, ছাত্রীদের পক্ষ থেকে পুরকৌশলের ছাত্রী সুমাইয়া সাদিয়া তোহা বক্তব্য দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম বিষয়ে প্রামাণ্যচিত্র উপস্থাপন করেছেন তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফজলুর রহমান।
বিভিন্ন জাতীয় দিবসে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতাগুলোর বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়েছে।
ওএফএস।