`উপলব্ধি'র মাদকবিরোধী র্যালি ও সেমিনার

লেখা ও ছবি : বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি)’তে আছে ছাত্র, ছাত্রীদের স্বেচ্ছাসেবামূলক সামাজিক উদ্যোগ-মাদকবিরোধী একটি সংগঠন ‘উপলব্ধি’।
তাদের শ্লোগান, ‘মাদকের অবসান হোক, তারুণ্যের উদ্যমে’।
তাদের লক্ষ্য-‘তরুণ প্রজন্মকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনা।’
উপলব্ধির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘তরুণ সমাজের কেউই যাতে অন্ধকার মাদকাসক্তির পথে যেতে না পারেন, সেজন্য ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর আমরা উপলব্ধি তৈরি করেছি। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আমরা সীমিত সাধ্যের মধ্যে মাদকবিরোধী আলোচনা, পরামর্শ, নানা ধরণের প্রচার ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আজ তারা শিক্ষকদের নিয়ে মাদকবিরোধী র্যালি ও সেমিনার করেছেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গোপালগঞ্জকে নিয়ে তাদের র্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়েছে।
ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রাঙ্গণগুলো ঘুরে অ্যাকাডেমিক ভবনে এসে শেষ হয়েছে।
সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সেমিনার রুমে তারা মাদকবিরোধী সেমিনার করেছেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে এখানেও অংশগ্রহণ করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম. মাহবুব।
প্রধান আলোচক ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, গোপালগঞ্জের সহকারী পরিচালক এস. কে. ইফতেখার মোহাম্মদ উমায়ের।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, উপলব্ধির কর্মীরা ছিলেন।
সেমিনারে বক্তারা সবাই মাদকের কুফল ও ভয়াবহতা আলোচনা করেছেন।
এস. কে. ইখতেখার মোহাম্মদ উমায়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ছাত্র, ছাত্রী ও শিক্ষকদের বলেছেন, “অনেক ধরণের সহিংসতা আমরা সবাই সমাজে দেখতে পাই, যেগুলোর কোনোটিই কোনো সুস্থ মানুষের করা সম্ভব নয়। এর কারণ, ‘মাদকাসক্তি’।”
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জানিয়েছেন, ‘মাদকের মধ্যে আছে-গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, হেরোইন ইত্যাদি যেকোনো নেশাজাতীয় ও উত্তেজক দ্রব্য, খারাপ কিছু।
ড. মো. রাজিউর রহমান বলেছেন, “ যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের, যেকোনো শিক্ষকের মতো-ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ক্যাম্পাসের যে কারো মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সবসময় কঠোর। এক্ষেত্রে আমরা সবাই সর্বক্ষণ ‘জিরো টলারেন্স’।”
‘তরুণ প্রজন্মকে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে।’
‘কেউ আক্রান্ত থাকলে সুচিকিৎসার মাধ্যমে বেরিয়ে আসতে হবে।’
‘কোনো শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ পেলেই আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেই।’
উপলব্ধির কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, ‘তরুণরা আধুনিকতার নামে সিগারেট খায়। অথচ তাদের কেউই তাকে মাদক বলতে নারাজ। মাদকের প্রথম ও সবচেয়ে শক্তিশালী সঙ্গী সিগারেট।’
ওএফএস।
