'বঙ্গবন্ধু জেলে থাকাকালীন বঙ্গমাতা গেরিলা হিসেবে কাজ করতেন'

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু যখন জেলে অবস্থান করছিলেন, তখন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা গেরিলা হিসেবে কাজ করতেন।
সোমবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে বেগম ফজিলাতুন্নেছার জন্মবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গমাতা যদি বঙ্গবন্ধুর পাশে না থাকতেন তাহলে এদেশ এত সহজে মুক্ত হতো না। বঙ্গবন্ধুর 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইটির মাধ্যমে এখন আমরা অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। এই লেখার পেছনেও বঙ্গমাতার অবদান অনেক। তিনিই বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন লিখতে এবং লেখার জন্য খাতা কিনে দিয়ে এসেছেন জেলে।
উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু জেলে থাকার সময় বঙ্গমাতা যখন জেলে দেখা করতে যেতেন তখন পাকিস্তানিরা শুনত কী কথা বলছে। এটি যেন না হয় সেজন্য তিনি শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা আর কামালকে নিয়ে আসতেন। আর জেলে তারা ইচ্ছা করেই ঝগড়া-মারামারি করত। এই সুযোগে তিনি কথা বলে নিতেন।
উপাচার্য আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গমাতা চাইলে তিনি বেঁচে থাকতে পারতেন কিন্তু বঙ্গমাতা সেসময় বলেছেন 'ওনাকেও যেন মেরে ফেলা হয়'।
এসময় বিশেষ অতিথি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, বঙ্গমাতা সব সময় বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন জেলে ছিলেন তিনি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের রান্না করে খাইয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি শেখ হাসিনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, 'যে ঘটনা ঘটেছে, যে কাহিনি পর্দার আড়ালে আছে তা আর কতটুকুই বা লেখে প্রকাশ করা যাবে। অনেক না বলা কথা ও ইতিহাস এখনো অজানা।' এই না বলা ইতিহাস, না বলা কথা তিনি হলের শিক্ষার্থীদের গবেষণা করতে বলেছেন।
অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ছাত্রী হলে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কর্নার ও একটি দেয়ালিকা উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, শিক্ষক, প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা, হলের হাউজ টিউটরবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসজি/
