চুয়েটের আসন ৯৩১টি, ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছেন ৯,৪৭৭ ছাত্র-ছাত্রী

বাংলাদেশের প্রকৌশলের তিনটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ‘রুয়েট (রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)’, ‘কুয়েট (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)’ এবং ‘চুয়েট (চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)’।
তাদের প্রকৌশল গুচ্ছের ২০২১-’২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ বা ‘লেভেল-১’র অ্যাকাডেমিক ভর্তি সমন্বিত উপায়ে অত্যন্ত সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
পরীক্ষাগুলো বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একযোগে ‘ক’ ও ‘খ’ তে সম্পন্ন করেছে।
প্রসঙ্গত, ‘ক’ গ্রুপের পরীক্ষায় ‘ক’ গ্রুপ ও ‘খ’ গ্রুপের সকল পরীক্ষার্থীকে একসঙ্গে অংশগ্রহণ করতে হয়।
তবে ‘ক’ গ্রুপের সকল পরীক্ষার্থী ‘খ’ গ্রুপে অংশগ্রহণ করতে পারেন না।
‘ক’তে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগগুলো এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা রয়েছে।
‘খ’তে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভাগগুলো, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা এবং স্থাপত্য বিভাগ রয়েছে। এই গ্রুপে মুক্ত হস্তে অংকন পরীক্ষা রয়েছে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সংরক্ষিত আসনসহ চুয়েটে ৯শ ৩১টি, কুয়েটে ১ হাজার ৬৫টি ও রুয়েটে ১২শ ৩৫টি আসন আছে।
তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বমোট আসন ৩ হাজার ২শ ৩১টি। ভর্তি হতে মোট ২৮ হাজার ৩শ ৯৫ জন ছাত্র ও ছাত্রী অংশগ্রহণ করেছেন।
এম. সি. কিউ. পদ্ধতিতে ‘ক’ গ্রুপের পরীক্ষা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২.৩০ পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা হয়েছে।
‘খ’ গ্রুপে (মুক্ত হস্ত অঙ্কন) পরীক্ষা দুপুর ১২.৪৫ মিনিট থেকে টানা এক ঘন্টা ১টা ৪৫ মিনিটে শেষ হয়েছে।
আজ ৬ আগস্ট, শনিবার, ২০২২ সাল, সকাল ১০ টা থেকে একযোগে স্ব-স্ব বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষাগুলো হয়েছে বলে জানিয়েছে, চুয়েট জনসংযোগ দপ্তর।
তারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগের অত্যন্ত মেধাবী মোট ৯ হাজার ৪শ ৭৭ জন ছাত্র, ছাত্রী ভর্তি পরীক্ষা দেবার জন্য ফরম কিনেছেন।
‘ক’ বিভাগে ৮ হাজার ৭৪০ জন ও ‘খ’ বিভাগে ৭শ ৩৭ জন অংশগ্রহণ করেছেন।
তাদের মধ্যে ‘ক’ গ্রুপে ৭ হাজার ৫৭৬ জন উপস্থিত ছিলেন। অনুপস্থিত ছিলেন ১ হাজার ৯শ ১ জন পরীক্ষার্থী।
‘ক’ ভাগে চুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার গুচ্ছে উপস্থিতির হার ৭৯.৯৩ শতাংশ।
‘খ’তে ৭শ ৩৭ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫শ ২৩ জন উপস্থিত ছিলেন। ২শ ১৪ জন অনুপস্থিত ছিলেন।
‘খ’ গ্রুপে চুয়েটে উপস্থিতির হার ৭০.৯৬ শতাংশ।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম সকাল ১০টা থেকেই তার ক্যাম্পাসের ক্লাসরুমগুলো পরিদর্শন ও পরীক্ষার ডিউটি প্রদান শুরু করেন।
প্রকৌশল গুচ্ছের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সদস্য ও চুয়েটের স্থানীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি পুরকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মইনুল ইসলাম পরীক্ষার ডিউটি দিয়েছেন।
ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম ডিউটিতে ছিলেন।
অতিরিক্ত দায়িত্বে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী ডিউটি প্রদান করেছেন।
চুয়েটের সকল অধ্যাপক ভর্তি পরীক্ষায় ডিউটি করেছেন।
সব কর্মকর্তা, কর্মচারী তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন।
ওএফএস।
