জাবিতে দুই হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, দোকানপাট ভাঙচুর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মীর মশাররফ হোসেন হল ও মওলানা ভাসানী হলের মধ্যে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অবস্থিত খাবারের দোকানপাট ভাঙচুর করে এবং বটতলার রাস্তার বাতি ভেঙে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বটতলায় এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী খালিদ হোসেনসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মাঠে ফুটবল খেলছিলেন। এ সময় ভাসানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী কাপালি মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে মোবাইলে কথা বলছিলেন। তাকে কয়েকবার সরে যেতে বললেও তিনি সরেননি। পরে খেলা চলাকালে বলের পিছে ছুটতে গিয়ে খালিদ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাপালির গায়ের উপরে পড়ে যায়। এ সময় কাপালি খালিদকে থাপ্পড় মেরে বসে।
পরে ভাসানী হলের নিবিড়, সাজ ও হিমু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তারা খালিদকে জোরপূর্বক বাইকে তুলে হলে নিয়ে যেতে চায়। এ সময় মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সজীব এসে বাধা দিলে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর দুই হলের সিনিয়ররা এসে বিষয়টা মিটমাট করেন।
এ ঘটনার জের ধরে মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা রড ও লাঠিসোটা নিয়ে বটতলায় ভাসানী চত্বরে এসে দোকানপাট ভাঙচুর করে। এ সময় ভর্তিচ্ছুক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে চারদিকে ছোটাছুটি শুরু করে। তারা ভাসানী হলের দিকে আগানোর চেষ্টা করলে প্রক্টরিয়াল বডি বাধা দেয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন সেখানে উপস্থিত হন। উভয় হলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করেন। নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীরা নিজ হলে চলে যায়।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা রাজনৈতিকভাবে সমাধান করার জন্য সময় চেয়েছে। এই অস্থিতিশীল ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগপত্র পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে বা পরিস্থিতি অবনতি হলে আমরা প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এসআইএইচ
