জবির লোকপ্রশাসন বিভাগে শাড়ি-পাঞ্জাবি দিবস

বিশ্ববিদ্যালয় যেন অনেকটা পরিবারের মতোই। পরিবার পরিজন ছেড়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় পাড়ি জমানো শিক্ষার্থীদের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় একটি পরিবারই। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানান বিভাগ নানা সময় আয়োজন করে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। সেসব অনুষ্ঠানে বিভাগ লাভ করে অন্যরকম রূপ। ঠিক সেরকমই ব্যতিক্রম আয়োজন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) লোকপ্রশাসন বিভাগ।
শাড়ি-পাঞ্জাবি দিবস নামকরণের মধ্য দিয়ে সুন্দর একটি মিলনমেলার সৃষ্টি হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে৷ শাড়ি পরে সকল মেয়ে আর পাঞ্জাবিতে ছেলেদের সাজ-পোশাক নজর কেড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ৷
লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ছোট একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে পড়ে বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে। একটি দিন অন্যরকমভাবে একসঙ্গে কাটানোর আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে সবখানে ৷
শাড়ি-পাঞ্জাবি উৎসবকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিও ছিল জোরদার৷ আগের দিন শ্রেণিকক্ষ সাজানো থেকে শুরু করে পরবর্তী সকল আয়োজনে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে শিক্ষার্থীরা৷ উৎসবকে ঘিরে নানা আকারের পোষ্টার, ছবি তোলার ফ্রেম ও সরঞ্জাম বানানোর কাজে সকলের অংশগ্রহণ এক অন্য মাত্রা যোগ করে।
অনুষ্ঠানের দিন সকাল থেকেই বিভাগে পরিলক্ষিত হয় উৎসবমুখর পরিবেশ৷ একে একে শিক্ষার্থীদের আগমনে যাত্রা শুরু হয় রঙিন দিনের৷ বিভাগের শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ও নানা আয়োজনের মাধ্যমে নতুন মাত্রা পায় অনুষ্ঠান৷ তা ছাড়া কেক কাটার মধ্য দিয়ে দিনটি হয়ে উঠে স্মৃতিমধুর৷ শাড়ি-পাঞ্জাবি দিবসের আনন্দকে অন্য মাত্রা দিতে বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে চকলেট বিতরণ করেন স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীরা। বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সুন্দর এই মুহূর্ত সৃষ্টির জন্য শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের অভিবাদন জানান৷
বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আব্দুল জলিল বলেন, আমাদের বিভাগে এমন আয়োজন প্রথম। আমাদের ব্যাচের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হলো। আমরা আশা রাখি, উৎসবের এই ধারা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে। সকল শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আরও বেশি উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হবে।
অনিশ্চিত জীবনে ছোট একটি ঘটনাও হয়ে উঠতে পারে স্মৃতিবহ। এ রকম সাধারণ মুহূর্তগুলোই অসাধারণভাবে পরিপূর্ণ করে তোলে আমাদের শিক্ষাজীবনের শেষ বছরগুলোকে ৷ বিভাগের বন্ধুবান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়রের মেলবন্ধনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। সকলের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার এমন আয়োজন চলতে থাকুক অবিরত। এরকমভাবেই সুন্দর হয়ে উঠুক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা দিন ৷ উদযাপিত হোক বন্ধুত্ব ও ভালোবাসার সম্পর্কগুলো৷
এমএমএ/
