শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শাবিতে ৮ স্থান অরক্ষিত, নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা

বুলবুল হত্যাকাণ্ডের পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দূরদর্শিতার অভাব ও দায়হীনতাকে দায়ি করছেন। তাদের দাবি- রাত সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এমন ন্যাক্কারজনক পরিস্থিতি প্রমাণ করে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস এবং হলে থাকা আবাসিক শিক্ষার্থীর ব্যাপারে কোনো দায় নেই সংশ্লিষ্টদের।

কর্তৃপক্ষের দায়হীনতার কারণে অকালেই প্রাণ দিতে হয়েছে শিক্ষার্থী বুলবুলকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই বারবার এ বিদ্যাপীঠ কোনো না কোনো ঘটনায় সারাদেশে বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।

বুলবুল হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার তিন আসামির কারো নামে এর আগে ছিনতাইয়ের কোনো মামলা নেই। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায় ছিনতাই করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে বুলবুল নিহত হন।

এর আগে চলতি বছরের শুরুতে শিক্ষার্থী আন্দোলনের কারণে পুরো এক মাস অস্থিতিশীল ছিল দেশের অন্যতম এ বিদ্যাপীঠ। সেই রেশ পুরোপুরি শেষ হতে না হতেই ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল নিহতের ঘটনায় আবারও আলোচনায় শাবিপ্রবি। নিহত বুলবুল লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি নরসিংদী সদরের নন্দীপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় সন্দেহের তালিকায় থাকা বুলবুলের বান্ধবীর নাম মার্জিয়া ঊর্মি। তিনি শাবির বাংলা বিভাগের ছাত্রী। তার বাড়ি নেত্রকোনা সদর উপজেলায়।

এদিকে, বুলবুল খুনের পর শাবি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত আটটি স্থান অরক্ষিত। গাজী-কালুর টিলাসহ কয়েকটি এলাকায় বহিরাগত মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে হাঁটাচলা করতেও অনিরাপদ বোধ করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলারগাঁও এলাকার পাঁচটি স্থানে সামীনা প্রাচীরের নিচ দিয়ে কে বা কারা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে রেখেছে। কাঁটাতারের বেড়াও কেটে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের পেছনের টিলা ও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে কোনো সীমানা প্রাচীর নেই। এসব স্থানে কোনো নিরাপত্তাকর্মীও নেই। সহজেই এসব স্থান দিয়ে বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে নানা অপরামূলক কর্মকাণ্ড ঘটাতে পারেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, কয়েকটি স্থান ছাড়া সবখানেই সীমানা প্রাচীর আছে। তবে বহিরাগত ব্যক্তিরা প্রাচীর টপকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে তুলনামূলক নির্জন স্থানে ওঁৎ পেতে থাকেন। একা কিংবা দুজন শিক্ষার্থী এসব এলাকায় গেলেই ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালানো হয়। অনেক সময় বহিরাগতরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্জন জায়গায় বসে মাদক সেবনও করেন।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন সিলেট জেলা আহবায়ক অধ্যাপক জান্নাত আরা খান পান্না বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একজন শিক্ষার্থী খুনের ঘটনা নিঃসন্দেহে খুবই দুঃখজনক। এ দৃশ্য অভিভাবকদের জন্য খুবই আতঙ্কের। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি জেনেই থাকে, এ স্থান ছিনতাইকারীদের স্বর্গরাজ্য, তাহলে এতদিন তারা বিষয়টির প্রতিকার করলেন না কেন? তা ছাড়া হল প্রভোস্টও এর দায় এড়াতে পারেন না। সন্ধার পর শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান নিশ্চিত বা তাদের সম্পর্কিত তথ্য মনিটরিং ব্যবস্থা থাকাটাও বাঞ্চনীয়। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ দ্রুত ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনের দাবি জানান।

একই অভিমত আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিনের। তিনি বলেন, ঘটনার পর কেন বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে? যেহেতু ক্যাম্পাস সংলগ্ন স্থানটি মনোরম পরিবেশে অবস্থিত-সেখানে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ থাকাটাই স্বাভাবিক। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৎসংলগ্ন এলাকার পরিবেশ হবে অনেকটাই নিরাপত্তা ও নির্ভরতার। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব থাকলে এ রকম ঘটনা বারবার ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে শাবি ক্যাম্পাস কিছুটা ‘অরক্ষিত’- এমন বক্তব্য পাওয়া গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের বক্তব্যেও। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) খুনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. নিশারুল আরিফ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শাবি ভিসি ফরিদ উদ্দিন। তিনি এসময় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য আমরা সীমানা প্রাচীর দিয়েছি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহিরাগতরা এসে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালায়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সীমান প্রাচীর আছে তা পুরো সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু দুষ্কৃতকারী আছে- যারা বালির বস্তা দিয়ে দেয়ালের উপর দিয়ে ভেতরে চলে আসে। এ ছাড়াও তারা মই লাগিয়ে রাখে এবং দেয়ালের নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ করে ঢুকে পড়ে। এভাবে ঢুকে দুষ্কৃতকারীরা আমাদের বনের গাছগুলো পুড়িয়ে ফেলেছে। আমরা এখন পুরোটাই কাটাতারের বেড়া দেব। আমরা চেষ্টা করছি বহিরাগতদের প্রবেশ পুরোপুরি প্রতিহত করার।

এদিকে, বুধবার (২৭ জুলাই) বেলা ১১টায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন- শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় আমরা পুরো ক্যাম্পাসে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি এবং কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছি। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের যাতে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় ক্যাম্পাস পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো মেরামত করার চেষ্টা করছি। আগে অনেক সমস্যা ছিল, আমি আসার পর একটার পর একটা সমস্যা সমাধান করেছি। ক্যাম্পাসে আগে মাদকের ছড়াছড়ি ছিল, র‌্যাগিং নামক বড় সমস্যা ছিল। সেটি এখন আর নেই। আমরাই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা করেছি।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে পুলিশ ঢুকতে পারে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় নিয়মিত টহল দেয় পুলিশ। বর্তমানে শাবির আশপাশের এলাকায় টহল আরও বাড়াানো হয়েছে।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- শাবির পেছনের টিলাগাঁওয়ের আবুল হোসেন, কামরুল আহমদ, মো. হাসান। বুলবুল হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এসএন

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি