বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা লক্ষ্য করছি যে, স্থানীয় সরকার সংস্কার সংস্থার কিছু সুপারিশ জনগণের প্রতিনিধিত্বের মৌলিক ধারণার বিরোধী। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও অবনতি হচ্ছে। যদিও আমরা একটি পরিবর্তনের সময় পার করছি, তবে এই রূপান্তর প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত করা উচিত নয়। জাতীয় নির্বাচন সময়মতো আয়োজন করা জরুরি এবং দেশের স্বার্থে আমাদের আবার ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি এসব কথা বলেন।
স্ট্যাটাসে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “এখনো এক বছর হয়নি, আমরা বাংলাদেশে জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয় অর্জন করেছি। সবচেয়ে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এই পরিবর্তনের জন্য আমরা অনেক প্রাণ দিয়েছি, বড় মূল্য দিতে হয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “আমরা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন দিয়ে আসছি। আমরা অবশ্যই ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার চাই, তবে এই সংস্কার জনগণের প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই হতে হবে, যারা দেশের মানুষের মনোভাব বোঝেন।”
মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পরও রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, দলটি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে এবং তারা জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
ঢাকার সাভারে পাকিজা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজের একটি গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাড়ে ৯টার দিকে গোডাউনটিতে আগুন লাগে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।
স্থানীয়দের তথ্য মতে, আগুন লাগার পর মুহূর্তেই তা গোডাউনটি পুরোপুরি ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সাভার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের তীব্রতা বাড়লে সাভার ট্যানারি ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পাঁচটি ইউনিটের দুই ঘণ্টার চেষ্টা শেষে, সকাল ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনায় গুদামে থাকা কাপড় ও কার্টুন পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে, অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পাকিজা ডাইং অ্যান্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও স্বামী আদনান আল রাজীব। ছবি: সংগৃহীত
বিয়ের গুঞ্জন আর নানা জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। পাত্র দীর্ঘদিনের প্রেমিক পরিচালক-প্রযোজক আদনান আল রাজীব। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অদূরে একটি রিসোর্টে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয় তাদের।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) মেহজাবিন নিজের ভেরিভায়েড ফেসবুক পেইজে বিয়ের কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন।
ওই পোস্টের ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ৯ এপ্রিল ২০১২- বাঁকা দাঁতের সুন্দর হাসিওয়ালা একটি ছেলে আমার সাথে দেখা করতে এসেছিল। তখন আমি যখন একটি শুটিং হাউসের বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। তখন তিনি রাস্তা থেকে আমার দিকে হাত নেড়েছিলেন। আমরা মাত্র ১৫ মিনিটের জন্য কথা বলেছিলাম, হাত মিলিয়ে ছিলাম। সেদিন তিনি চলে যাওয়ার সাথে সাথে আমি অনুভব করেছি যে আমার হৃদয়ের একটি টুকরো তার সাথে চলে গেছে।
অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও স্বামী আদনান আল রাজীব। ছবি: সংগৃহীত
পোস্টে আরও লিখেছেন, ১৩ বছর পর, এখানে আমরা, একসঙ্গে বেড়ে উঠছি, প্রতিটি সাফল্য উদযাপন করছি এবং প্রতিটি বাধা অতিক্রম করছি। সবাই বলে, সাত বছরের বন্ধুত্ব জীবনভর থাকে—আমরা তা প্রায় দ্বিগুণ সময় কাটিয়ে ফেললাম। ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫-এ, আমরা চিরকালের জন্য আমাদের সম্পর্ক বেঁধে ফেলেছি। একে অপরকে হাত ধরাধরি করে এই যাত্রা চলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। আদনান আল রাজীব, আমি তোমাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছি। এই নতুন অধ্যায় শুরু করার সময়, আমরা আপনাদের ভালোবাসা এবং প্রার্থনা কামনা করছি, যাতে আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত থাকে সুখী ও একসঙ্গে কাটানোর।
এর আগে রোববার আয়োজন হয়েছিল তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান। আর এদিনের কিছু ছবি ফাঁস হতেই তোলপাড় সামাজিক মাধ্যম।
মেহজাবীন চৌধুরীর গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে ছিল বেশকিছু বিধিনিষেধ। আমন্ত্রিত অতিথিরা তুলতে পারবেন না ছবি ও ভিডিও। কিন্তু এর মাঝেও ফাঁস হয়ে যায় মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীবের বেশ কিছু মুহূর্ত।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সেই ছবিগুলোতে দেখা যায় মেহজাবীন চৌধুরী ও আদনান আল রাজীবের বেশ কিছু মুহূর্ত। এ সময় দুজনকে বেশ হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। এ ছাড়াও তাদের সঙ্গে দেখা মেলে একটি ব্যান্ডদলের। বুঝতে বাকি নেই, নিজেদের বিয়েতে এই তারকা যুগল নাচে গানে বেশ মেতে উঠেছিলেন।
গায়ে হলুদের ফাঁস হওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত
এর আগে রবিবার একই রিসোর্টে সম্পন্ন হয়েছে রাজীব ও মেহজাবিনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানেও দুই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি শোবিজের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানে ছবি তোলা এবং ভিডিও করা বারণ ছিল। এর জন্য মাইক্রোফোনে ঘোষণাও দেওয়া হয়।
গায়ে হলুদের আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের দিনে রাজধানীর এক আবাসিক এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে রাজীব ও মেহজাবিনের আকদ বা আংটি বদলের অনুষ্ঠান হয়।
তারকা জুটির বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে ইংরেজিতে লেখা, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী ও গাজালা চৌধুরীর আদরের কন্যা মেহজাবিন চৌধুরীর সঙ্গে বাসেদুল আলম ও সাবেকুন নাহারের ছেলে আদনান আল রাজীবের বিয়েতে আপনি সাদরে আমন্ত্রিত।’