বরিশালের জীবাশ্ম উপহার দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়কে

লেখা ও ছবি : সায়ন্তনী রাখী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
বিভাগের কৃতি সন্তান ও কানাডা ভ্যাঙ্কুভারের সফটওয়্যার টেকনোলজি বিশেষজ্ঞ জুবায়ের বিন সরোয়ারের উদ্যোগে সংগ্রহ করা প্রাগৈতিহাসিক কালের দুস্প্রাপ্য ফসিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ ২১ জুলাই সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
শিরোনাম ছিল, ‘প্রাগৈতিহাসিক যুগের জীবাশ্ম হস্তান্তর ও সম্মাননা প্রদান’।
ভূতত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুখেন গোস্বামী সভাপতিত্ব করেছেন।
প্রধান অতিথি ছিলেন ট্রেজারার ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া।
ছিলেন বিশেষ অতিথি ও ফসিলের সংগ্রাহক এবং আর্থিক সহযোগিতা দানকারী কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে কাজ করা বাংলাদেশী আইটি বিশেষজ্ঞ জুবায়ের বিন সরোয়ার, তার বাবা সংগ্রাহক গোলাম সরোয়ার।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বরিশালের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও অভিভক্ত ভারতের মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হকের নামে প্রতিষ্ঠিত ছাত্র হলের প্রভাস্ট অধ্যাপক আবু জাফর মিয়া, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক তাসনুভা হাবিব জিসান।
এসেছেন আগ্রহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, ছাত্র, ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এই বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারকে বরিশাল থেকে সংগ্রহ করা প্রাগৈতিহাসিক কালের দুটি যুগের জীবাশ্ম বা ফসিল দান করেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয় তাদের স্মারক সম্মাননা ও সংবর্ধনা প্রদান করেছে।
ধন্যবাদ গিয়ে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেছেন, ‘প্রাগৈতিহাসিক কালের এই ফসিলগুলো এখন আর নেই। কেবল বাংলাদেশেরই নয়, গবেষণার বিশ্ব সম্পদ। আমাদের বিভাগীয় কার্যক্রমগুলোর সমৃদ্ধ সম্পদ। জুবায়ের ও তার বাবা গোলাম সারোয়ারের এমন ভালোবাসা বিরল ও দুঃসাধ্য। প্রবল ইচ্ছাশক্তির পরিচায়ক। তাদের সম্মানিত করতে পরে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আনন্দিত।’তিনি জানিয়েছেন, ‘বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা উন্নত ও নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপ নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের ছাত্র, ছাত্রীরাও গুগলে পৌঁছেছে। বিসিএস, জুডিশিয়ারি, ব্যাংকসহ বিভিন্ন ভালো নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাদের মেধা ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখছে। এক সময় আমরা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পরিণত হব।’
ফসিলগুলোর মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে পৃথিবীর উৎপত্তি, ইতিহাস, বিশ্বের ভূমিতত্ব, প্রাগৈতিহাসিক কালের উদ্ভিজ্জ ও প্রাণীদের নিয়ে গবেষণা করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন ভূতত্ব ও খনিবিদ্যার বিভাগীয় চেয়ারম্যান সুখেন্দু গোস্বামী।
ওএস।
