ড. সালিমুল হক, ওবিই হলেন ‘ডক্টর অব সায়েন্স’

ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের ‘অর্ডার অব দি ব্রিটিশ এম্পায়ার’ বা ‘ওবিই’ পদকে ভূষিত বাংলাদেশের জলবায়ু বিজ্ঞানী, একমাত্র বিজ্ঞানী হিসেবে লাভ করেছেন। অধ্যাপক ড. সালিমুল হক, ওবিইকে সবচেয়ে প্রভাবশালী বাংলাদেশী জলবায়ু বিজ্ঞানী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ আইইউবির ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর দি ক্লাইমেন্ট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইসিসিএড) পরিচালক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের তিনি কৃতি অধ্যাপক, গবেষক।
ব্রিটেনের নর্থআম্ব্রিয়া ইউনিভাসিটি ‘দি ডক্টর অব সায়েন্স’ সম্মাননায় ভূষিত করেছে তাকে। সাধারণত এসসি. ডি. বা ডি. এসসি. অথবা এস.ডি বা ডি.এস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেরা অ্যাকাডেমিক গবেষণা ডিগ্রি। সারা বিশ্বে অত্যন্ত মযাদাপূর্ণ। কটি দেশে বিজ্ঞানে পিএইচডি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে উচ্চতর পিএইচডি হিসেবে গণ্য এটি।
অধ্যাপক ড. সালিমুল হক, ওবিই, ডক্টর অব সায়েন্স, পরিবেশ বিজ্ঞান ও জলবায়ু পরিবর্তনে তার ভূমিকার জন্য পদক লাভ করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা। উল্লেখ করেছেন, “ড. হক ওবিই বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপক্ষে তার নেতৃত্ব দানের জন্য আমাদের সম্মাননাটি লাভ করেছেন। সমাজ, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সাহায্য ও ভঙ্গুর সমাজগুলোকে পরিবেশের পরিবর্তনে টেকসই খাপ খাওয়ানোতে তার অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হলো।”
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির সামার গ্রাজুয়েশন বা গ্রীস্মকালীন অনার্স পাশের অনুষ্ঠানে ‘ডক্টর অব সায়েন্স’ ডিগ্রিটি গ্রহণ করেছেন। তাদের ওয়েবসাইটে আছে তাকে সম্মান দেওয়ার বিস্তারিত।
নিজের সম্মানসূচক পদকটি গ্রহণের সময় অধ্যাপক ড. সালিমুল হক, ওবিই বলেছেন, ‘আমি অবিশ্বাস্য সম্মানিত বোধ করছি ডক্টর অব সায়েন্স ডিগ্রিটি নর্থআম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আমার জলবায়ুর পরিবর্তনকে মোকাবেলার কাজগুলোর স্বীকৃতি হিসেবে গ্রহণ করতে। আমি সন্তুষ্ট চিত্তে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সহকর্মীদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের কাজগুলোকে অব্যাহত রাখবো।’
তারা লিখেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও কার্যকর জলবায়ু বিজ্ঞানীদের একজন হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিষ্ঠানগুলোর মূল পদগুলোতে কাজ করছেন। সেগুলোর মধ্যে আছে জাতিসংঘের ‘ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেইঞ্জ’ ও দি গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের দেশগুলোর আলোচক সরকার, সরকার প্রধান, নানা দেশের রাজনীতিবিদ ও পরামর্শকদের ‘ইউএন কনফারেন্স অব দি পার্টিজ (কপ)’-এ প্রতিবছর অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি প্রভাব বিস্তার করতে পারবে এমন অঙ্গীকারগুলোর স্বাক্ষরে ভূমিকা পালন করেছেন। অবদান রেখেছেন কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্যানেলে, যেগুলোতে তারা মূল্যায়ন প্রতিবেদনগুলো তৈরি করেছেন। সবই জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে।
তাকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বেসরকারীভাবে বিশ্বের অন্যতম সম্মানিত বৈশ্বিক আলোচক ও গবেষকদের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
নর্থআম্বিয়া ইউনিভাসিটি ব্রিটেনের একটি সরকারী গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়। নিউক্যাসেলের বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের উত্তর পূর্বে। রুদারফোর্ড কলেজ, ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯২ সালে শিক্ষার মানে ও গুণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপদান করা হয়েছে।
ওএস।
