অবৈধদের নামিয়ে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হলে তুলেছে হল প্রশাসন

লেখা ও ছবি : মাহমুদুল হাসান, প্রতিনিধি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
১ জুলাই বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও সেরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধদের হল থেকে বের করে দেওয়া এবং বৈধ সিট না পাওয়া ছাত্রদের হলে তুলে দেবার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে শহীদ সোহরোয়ার্দী হল থেকে অবৈধদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ও বৈধ ছাত্রদের তাদের কক্ষ এবং সিট বুঝিয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। ২২ জনকে এর আগে হলে সিট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবাসিক শিক্ষকরা উপস্থিত থেকে কার্যক্রমটি শুরু করেছেন।
৩০ জুন পূর্ব নিদেশ মেনে হলে সিট পাওয়া ছাত্ররা বিকেল চারটার মধ্যে হলের গেটে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন বন্ধু ও সিনিয়র এবং জুনিয়র বিপুল সাংবাদিক ছাত্র, ছাত্রী।
‘তবে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহবায়ক তখনো না আসায় কার্যক্রম শুরু করা যায়নি’ জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। তারা ছাত্রদের নিয়ে তখন দফায়, দফায় বৈঠক করেছেন।
সন্ধ্যা সাতটায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. তারেক নূর ও জনসংযোগ বিভাগের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে হলটির প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করেন। এরপর সবাই মিলে বৈধ ছাত্রদের হলটিকে তুলে দেওয়া এবং অবৈধদের নামিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেন। সঙ্গে হলের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ছিলেন।
২ জুলাই তারা ১১ জনকে হলের সিট বুঝিয়ে দেন। বাকি সাতজনকেও হলে তুলে দেবেন বলে জানানো হয়েছে তখন। সেটি সম্পন্ন হয়েছে।
করোনাভাইরাসের আক্রমণে কোভিড ১৯ রোগে প্রায় বছর দুয়েক অনলাইনে শিক্ষাকার্যক্রম চলেছে। তখন অন্যান্য হলের মতো পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জননেতা শহীদ সোহরোয়ার্দীর নামে প্রতিষ্ঠিত এই হলে ৯৪টি আসন খালি হয়। এরপর হলে উঠতে ইচ্ছুক ছাত্রদের কাছ থেকে নোটিশ বোড, প্রশাসন ও শ্রেণীকক্ষের মাধ্যমে আবেদনপত্র আহবান করা হয়। অ্যাকাডেমিক ফলাফল, পারিবারিক অবস্থা বিবেচনা করে মৌখিক আবেদনের মাধ্যমে মোট ৬৬ জনকে আসন বরাদ্দ করা হয়।
৯৪টি আসনের বিপরীতে ৭২টি মানে ২৪টি আসন অবৈধভাবে ছাত্র নামধারী রাজনৈতিক কমী, অছাত্রদের কাছে দখল হয়ে ছিল বলে জানিয়েছেন তারা। তাদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম চলছে বলে উল্লেখ করেছেন ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান।
২৩ জুন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত জরুরী অফিস আদেশে ছয় দিনের মধ্যে ২৯ জুন তারিখেই অনাবাসিক, বহিরাগত ও অন্য হলগুলোর ছাত্রদের হলটি খালি করে দেবার আদেশ দেওয়া হয়। তাদের কোনো ছাত্র কোনো জরুরী সমস্যায় আক্রান্ত হলে ২৮ জুনের মধ্যে অভিভাবকসহ হল প্রশাসনে যোগাযোগ ও কথা বলার নিদেশ জারি হয়।
হলে তুলে দেবার সময় অনেক রুমে তালা মারা দেখেছেন তারা বলে জানিয়েছেন প্রাধ্যক্ষ স্যার। আধঘন্টার মধ্যে না এলে তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে।
ওএস।
