এবারের রসায়নের নোবেল বিজয়ীদের আলোচনায় গিয়েছেন আফরিন হক

লেখা ও ছবি : চৌধুরী মাসাবি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজিত হয়েছে ‘লিন্ডাউ নোবেল লরিয়েট মিটিংস’ বা নোবেল বিজয়ীদের সভাগুলো। ২৬ জুন থেকে ১ জুলাই ২০২২ পর্যন্ত জার্মানিতে হয়েছে বিশ্বসেরা আয়োজনটি। এবার ৭১তম আয়োজন হলো। ইউরোপীয় কমিশনের আয়োজনে ‘মেরি-স্কোদভস্কা কুরি অ্যাকশন’র মাধ্যমে রসায়নে নোবেল বিজয়ীরা একত্র হয়েছেন। গিয়েছেন সরকারী কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের ২০১২-’১৩ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ছাত্রী ও অন্যতম গবেষক আফরিন হক, জানিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ ২৪.কমের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও অন্যতম ছাত্র চৌধুরী মাসাবি। তিনি জানিয়েছেন, এবার মোট ৬শ তরুণ, নিবাচিত গবেষককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মেরি স্কোদভস্কা কুরি ফাউন্ডেশন। তাদের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছেন বেঁচে থাকা ৪০ নোবেল বিজয়ী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও সম্মানিত এই পুরস্কারটির আয়োজনে তিনি তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গিয়েছেন দুজন মেধাবী গবেষক।
আফরিন হক জানিয়েছেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ও অনন্য অর্জনটি হয়েছে নোবেল বিজয়ীদের সম্মেলনে যোগ দিতে পেরে। তরুণ ছাত্রী ও গবেষক হিসেবে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পেরেছি। অন্য গবেষকদের কাছ থেকেও জানা হয়েছে কাজ সম্পর্কে। নোবেল বিজয়ীরা আমার গবেষণাকর্মে অত্যন্ত খুশি হয়ে উৎসাহ দিয়েছেন ও কাজ অব্যাহত রাখতে অনুরোধ করেছেন। তাদের সঙ্গে এবং তরুণ গবেষকদের মধ্যেও যোগাযোগের সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে নোবেল লরিয়েট মিটিংয়ে যেতে পেরে। আগামীর জীবনে ও গবষেণা এবং অন্যান্য সব ক্ষেত্রে এই আয়োজনের শিক্ষা ও অর্জনগুলো অনন্য ভূমিকা পালন করবে।’ তিনি জানিয়েছেন ‘নিজের চার বছরের গবেষণা জীবন ও আগের পড়ালেখা এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের মাধ্যমে এই অর্জন ঘটেছে বলে আমি মনে করি। এজন্য এবং আমার পেছনে সময় দেওয়ায় নোবেল বিজয়ীদের ও আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দুর রহমান এবং গবেষণা সুপারভাইজর বুয়েটের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী নকীব চৌধুরীর কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে ড. নকীব স্যার আমাকে বলেছেন।’
আফরিন হকের ভাষ্য, ‘এক সপ্তাহের এই আয়োজনটি ছিল। রসায়নের ওপর গবেষণা, কাজ, লেকচার, আলোচনা ও জ্ঞানের বিনিময়ের কার্যক্রম ছিল। অনেকগুলো পর্ব হয়েছে। নিজের দেশ ও পতাকাকে প্রতিনিধিত্ব করার অনুভূতি অসাধারণ।’
ওএস।
