সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

চিরসবুজ মতিহারের বাতিঘরের জন্মদিন আজ

লেখা ও ছবি : মাহমুদুল হাসান, প্রতিনিধি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

‘প্যারিস রোডে যদি কোন একদিন দেখা হয়ে যায় ব্যস্ত সময়ে, তবে কি তোমার হৃদয়ের কাঁটা কম্পাস ঘুরতে থাকবে আমার দিকে-এই প্রশ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীরা প্রেমিক ও প্রেমিকার দিকে। তারা একে, অন্যের দিকে হৃদয়ের কাঁটা ঘোরাতে পারুন বা নাই পারুন, সবার হৃদয়কে নাড়িয়ে দেয় সবসময় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়। তারা যান প্যারিস রোডে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস নয়, অবস্থান বাংলাদেশেই। দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আজ ৬ জুলাই। বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত ও সেরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজ সে পা রাখলো ৭০ বছরে।
‘এসো উৎসুক চিত্ত এসো অবারিত প্রাণ’ প্রতিপােদ্যে নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলাদেশের চিরতরুণ এই ক্যাম্পাসের জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের এই দিনে জন্ম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকে সে অনেক বড়, বিপুল তার আয়তন, বিরাট তার গৌরবের ভার।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে সাত দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আজ ৬৯ বছর পার করে ৭০ বছরে পা দিল। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় তা হলো, জ্ঞান সৃজন ও সঞ্চালন করা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এরপর বলেছেন, ‘এই কাজে আমরা পুরোপুরি সফল না হলেও তুলনামূলকভাবে এগিয়ে। আমাদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, তাই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখেই একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে, যা পূর্বে ছিল না। আমরা প্রায় ১১৩টি বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার।’
‘বর্তমানে নানা কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর বিশ্ববিদ্যালয় থাকছে না। কাঠামোগত উন্নয়ন হলেও গুণগত মানোন্নয়ন হচ্ছে না। মতিহারের সবুজ চত্বর এসব পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করে যাবে। জ্ঞান উৎপাদন, গবেষণা ও শিক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে পরবে বিশ্বময়’ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন এখন। ‘প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ’ খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে, মূল রাজশাহী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ব্রিটিশ যুগে রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষা, দীক্ষার উন্নয়নের জন্য ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহী কলেজ। সে আমলে এই কলেজে আইন বিভাগসহ পোস্ট গ্রাজুয়েট শ্রেণী চালু ছিল। কিন্ত এর কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায় এসব শিক্ষাকার্যক্রম।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সরকার দেশের সব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। রাজশাহীতে এ সময় স্যাডলার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে শুরু হয় আন্দোলন।
১৯৫০ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিশনের আদলে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ’ পাস করার সর্বপ্রথম দাবি তোলেন।
১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরের ভুবন মোহন পার্কে রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৩ই ফেব্রুয়ারি ভূবন মোহন পার্কেই আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ এমএলএ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আরও একটি জনসভা। উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ইদ্রিস আহমেদ এমএলএ, প্রভাষচন্দ্র লাহিড়ী, খোরশেদ আলম, আনসার আলী, আব্দুল জব্বার প্রমুখ। এভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ক্রমেই তীব্র হতে থাকে।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন ১৫ ছাত্রনেতা।
পরে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি ডেলিগেশন পাঠানো হয়। ডেলিগেশনের সদস্যদের মধ্যে মরহুম আবুল কালাম চৌধুরী ও আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য।
একের পর এক আন্দালনের চাপে স্থানীয় আইন পরিষদ রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়। এই আন্দোলনে একাত্ব হন পূর্ববঙ্গীয় আইনসভার সদস্য প্রখ্যাত আইনজীবী ও জননেতা মাদার বখশ।
১৯৫৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ভুবন মোহন পার্কে আরও একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জননেতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাদার বখশ সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, ‘যদি রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না হয় তবে উত্তরবঙ্গকে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ দাবি করতে আমরা বাধ্য হব।’ এই বক্তব্যে সাড়া পড়ে দেশের সুধী মহলে এবং সাথে, সাথে টনক নড়ে সরকারের।
অবশেষে ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক আইনসভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আইন পাশ হয়।
নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইতরাত হোসেন জুবেরীকে সঙ্গে নিয়ে মাদার বখশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এ দুজনকে যুগ্ম সম্পাদক করে মোট ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করা হয়। পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার এম. এ. খুরশীদ।
১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই ড. ইতরাত হোসেন জুবেরীকে উপাচার্য নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। শুরুতে ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয় রাজশাহী কলেজে।
১৯৫৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয় মতিহারের নিজস্ব ক্যাম্পাসে। বর্তমান ক্যাম্পাসে দালান-কোঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ শুরু হয়।
১৯৬৪ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস ও বিভাগ এখানে স্থানান্তরিত হয়। ক্যাম্পাসটি গড়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সোয়ানি টমাসের স্থাপত্য পরিকল্পনায়।
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও রসায়নের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার প্রাণের বিনিময়ে বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামের ইতিহাসে যুক্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্বেই বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ হবিবুর রহমান, শহীদ মীর আবদুল কাইয়ুম, শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ও অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষক মজিবর রহমান। আরও ত্রিশ জন ছাত্র, কর্মচারী-কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের বর্তমান প্রতীকের রূপ দেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও শিল্পী হাশেম খান।
প্রায় ৭৫৩ একর বা ৩শ ৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
রয়েছে ৫টি উচ্চতর গবেষণা ইন্সটিটিউট, ৯টি অনুষদের অধীনে ৫৬টি বিভাগে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
ক্যাম্পাসের উত্তর, পূর্ব দিক জুড়ে রয়েছে ছাত্রদের জন্য ১১টি আবাসিক হল।
পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ছাত্রীদের জন্য ৬টি আবাসিক হল।
মোট ১৭টি হল আছে এখন।
পূর্ব দিকে বাইরের গবেষকদের জন্য রয়েছে একটি ডরমিটরি।
পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে রয়েছে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক এলাকা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা’ এদেশের সর্বপ্রথম স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
রয়েছে সুবিশাল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় মন্দির, সাবাস বাংলাদেশ ভাষ্কর্য, বুদ্ধিজীবী চত্বর, বধ্যভূমি স্মৃতিফলক, গোল্ডেন জুবলি টাওয়ার ও বেড়ানো, আড্ডার বিখ্যাত প্যারিস রোড। আরো কত কী যে আছে, সে হিসেব কারো কাছে নেই।
ওএস।

Header Ad
Header Ad

আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করেছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, আমাদের ব্যর্থতা আছে, এটা অস্বীকার করার কোনো কারণ নাই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন যে আমাদের আত্মতুষ্টির সুযোগ নাই।

তবে আমাদের চেষ্টা আছে এবং আত্ম-জিজ্ঞাসা আছে। ব্যর্থতা উত্তরণের জন্য আমাদের প্রচণ্ড চেষ্টা আছে, তাড়না আছে। প্রত্যেকটা ব্যর্থতার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড চেষ্টা আছে।

‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালায় যোগদানের পূর্বে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর পিটিআই মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

এ সময় আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান নিয়ে কাজ করছি; বিশেষ করে পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগ। সেখান থেকে দাঁড়াতে আমাদের সময় লাগছে।

তিনি আরও বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তির হাতে হাজার হাজার কোটি টাকা আছে, টাকা থাকলে এবং বদ মতলব থাকলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করা সম্ভব। সে বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। আমাদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করছেন এবং আমাদের কো-অর্ডিনেশন মিটিংয়েও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

চলমান বিচার পদ্ধতি নিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শক্ত প্রমাণ আছে তাদের বিরুদ্ধে যেন যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আর যারা নির্দোষ তাদের যেন অযথা হয়রানি করা না হয় সে বিষয়টিও সমন্বয় করে দেখার নির্দেশনা দেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ

ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রংপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) মিঠাপুকুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী, ভূমিহীন সংগঠন ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেছেন।

আন্দোলনকারীরা মিঠাপুকুর উপজেলা চত্বর থেকে মিছিল সহ পদযাত্রা করে মিঠাপুকুর থানায় পৌঁছান এবং সেখান থেকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এবং কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। এতে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।

এসময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের গ্রেফতার, সর্বোচ্চ শাস্তি এবং ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকরের পাশাপাশি মিঠাপুকুর থানার বর্তমান ওসিকে অপসারণের দাবি জানান।

মিঠাপুকুর থানার বর্তমান ওসিকে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরবর্তীতে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, যদি আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষক গ্রেফতার না হয়, তবে আরও বড় ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।

Header Ad
Header Ad

এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত

যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার ও ট্রাফিকের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিএমপি) পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার ও ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদি হাসানকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারিকৃত সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণির সই করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড গোয়েন্দা-দক্ষিণ) বিপ্লব কুমার সরকার এবং ডিএমপির ট্রাফিকের (দক্ষিণ) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক বা লিখিতভাবে অবহিত না করে বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন।

সেহেতু, বিপ্লব কুমার সরকার এবং এস এম মেহেদী হাসানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ২ (চ) বিধি অনুযায়ী ২০২৪ সালের ৬ আগস্ট থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার  
এলিফ্যান্ট রোডের একটি বাসা থেকে ঢাবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
চ্যানেল ‘চ্যানেল ওয়ান’ সম্প্রচারে বাধা নেই  
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভাঙার অভিযোগ  
‘ডু অর ডাই’ ম্যাচে নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
আ:লীগ পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা  
বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে ২০০ ভরি সোনা ছিনতাই    
চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রশিবিরের হামলা
সেমিফাইনালের পথে ভারত, কোহলির সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের হার
নাহিদের পদত্যাগ নিয়ে যা জানা গেল
দুর্ঘটনায় আহত ছেলেকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার পথে সড়কে প্রাণ গেল মায়ের
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা দ্রুত মৃত্যু ডেকে আনে!
জীবন থাকতে কোনো স্থানীয় নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা