শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চিরসবুজ মতিহারের বাতিঘরের জন্মদিন আজ

লেখা ও ছবি : মাহমুদুল হাসান, প্রতিনিধি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

‘প্যারিস রোডে যদি কোন একদিন দেখা হয়ে যায় ব্যস্ত সময়ে, তবে কি তোমার হৃদয়ের কাঁটা কম্পাস ঘুরতে থাকবে আমার দিকে-এই প্রশ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, ছাত্রীরা প্রেমিক ও প্রেমিকার দিকে। তারা একে, অন্যের দিকে হৃদয়ের কাঁটা ঘোরাতে পারুন বা নাই পারুন, সবার হৃদয়কে নাড়িয়ে দেয় সবসময় তাদের বিশ্ববিদ্যালয়। তারা যান প্যারিস রোডে। ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিস নয়, অবস্থান বাংলাদেশেই। দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আজ ৬ জুলাই। বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত ও সেরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। আজ সে পা রাখলো ৭০ বছরে।
‘এসো উৎসুক চিত্ত এসো অবারিত প্রাণ’ প্রতিপােদ্যে নানা বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হচ্ছে বাংলাদেশের চিরতরুণ এই ক্যাম্পাসের জন্মদিন। ১৯৫৩ সালের এই দিনে জন্ম যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকে সে অনেক বড়, বিপুল তার আয়তন, বিরাট তার গৌরবের ভার।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে সাত দশকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আজ ৬৯ বছর পার করে ৭০ বছরে পা দিল। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় তা হলো, জ্ঞান সৃজন ও সঞ্চালন করা। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এরপর বলেছেন, ‘এই কাজে আমরা পুরোপুরি সফল না হলেও তুলনামূলকভাবে এগিয়ে। আমাদের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, তাই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবকে সামনে রেখেই একাডেমিক মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে, যা পূর্বে ছিল না। আমরা প্রায় ১১৩টি বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, যার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার।’
‘বর্তমানে নানা কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আর বিশ্ববিদ্যালয় থাকছে না। কাঠামোগত উন্নয়ন হলেও গুণগত মানোন্নয়ন হচ্ছে না। মতিহারের সবুজ চত্বর এসব পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করে যাবে। জ্ঞান উৎপাদন, গবেষণা ও শিক্ষায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ছড়িয়ে পরবে বিশ্বময়’ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছেন এখন। ‘প্রাচ্যের ক্যামব্রিজ’ খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে, মূল রাজশাহী শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ব্রিটিশ যুগে রাজশাহী অঞ্চলের শিক্ষা, দীক্ষার উন্নয়নের জন্য ১৮৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহী কলেজ। সে আমলে এই কলেজে আইন বিভাগসহ পোস্ট গ্রাজুয়েট শ্রেণী চালু ছিল। কিন্ত এর কিছুদিন পরেই বন্ধ হয়ে যায় এসব শিক্ষাকার্যক্রম।
১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর পাকিস্তান সরকার দেশের সব কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেন। রাজশাহীতে এ সময় স্যাডলার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে শুরু হয় আন্দোলন।
১৯৫০ সালের ১৫ নভেম্বর রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিশনের আদলে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শহরের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গণে সমবেত হয়ে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ’ পাস করার সর্বপ্রথম দাবি তোলেন।
১৯৫২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী শহরের ভুবন মোহন পার্কে রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনের জন্য সর্বপ্রথম জনসভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৩ই ফেব্রুয়ারি ভূবন মোহন পার্কেই আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ এমএলএ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় আরও একটি জনসভা। উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ইদ্রিস আহমেদ এমএলএ, প্রভাষচন্দ্র লাহিড়ী, খোরশেদ আলম, আনসার আলী, আব্দুল জব্বার প্রমুখ। এভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি ক্রমেই তীব্র হতে থাকে।
এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানাতে গিয়ে কারারুদ্ধ হন ১৫ ছাত্রনেতা।
পরে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ঢাকায় একটি ডেলিগেশন পাঠানো হয়। ডেলিগেশনের সদস্যদের মধ্যে মরহুম আবুল কালাম চৌধুরী ও আব্দুর রহমানের নাম উল্লেখযোগ্য।
একের পর এক আন্দালনের চাপে স্থানীয় আইন পরিষদ রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়। এই আন্দোলনে একাত্ব হন পূর্ববঙ্গীয় আইনসভার সদস্য প্রখ্যাত আইনজীবী ও জননেতা মাদার বখশ।
১৯৫৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ভুবন মোহন পার্কে আরও একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জননেতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মাদার বখশ সরকারকে হুশিয়ার করে বলেন, ‘যদি রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন না হয় তবে উত্তরবঙ্গকে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ দাবি করতে আমরা বাধ্য হব।’ এই বক্তব্যে সাড়া পড়ে দেশের সুধী মহলে এবং সাথে, সাথে টনক নড়ে সরকারের।
অবশেষে ১৯৫৩ সালের ৩১ মার্চ প্রাদেশিক আইনসভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা আইন পাশ হয়।
নতুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইতরাত হোসেন জুবেরীকে সঙ্গে নিয়ে মাদার বখশ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। এ দুজনকে যুগ্ম সম্পাদক করে মোট ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটি’ গঠন করা হয়। পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার এম. এ. খুরশীদ।
১৯৫৩ সালের ৬ জুলাই ড. ইতরাত হোসেন জুবেরীকে উপাচার্য নিয়োগ করে বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। শুরুতে ১৬১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয় রাজশাহী কলেজে।
১৯৫৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তর করা হয় মতিহারের নিজস্ব ক্যাম্পাসে। বর্তমান ক্যাম্পাসে দালান-কোঠা ও রাস্তাঘাট নির্মাণ শুরু হয়।
১৯৬৪ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস ও বিভাগ এখানে স্থানান্তরিত হয়। ক্যাম্পাসটি গড়ে ওঠে অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সোয়ানি টমাসের স্থাপত্য পরিকল্পনায়।
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও রসায়নের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুজ্জোহার প্রাণের বিনিময়ে বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামের ইতিহাসে যুক্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম।
মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রাথমিক পর্বেই বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদ হবিবুর রহমান, শহীদ মীর আবদুল কাইয়ুম, শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ও অকথ্য নির্যাতনের শিকার হন শিক্ষক মজিবর রহমান। আরও ত্রিশ জন ছাত্র, কর্মচারী-কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়য়ের বর্তমান প্রতীকের রূপ দেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও শিল্পী হাশেম খান।
প্রায় ৭৫৩ একর বা ৩শ ৪ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
রয়েছে ৫টি উচ্চতর গবেষণা ইন্সটিটিউট, ৯টি অনুষদের অধীনে ৫৬টি বিভাগে বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
ক্যাম্পাসের উত্তর, পূর্ব দিক জুড়ে রয়েছে ছাত্রদের জন্য ১১টি আবাসিক হল।
পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে ছাত্রীদের জন্য ৬টি আবাসিক হল।
মোট ১৭টি হল আছে এখন।
পূর্ব দিকে বাইরের গবেষকদের জন্য রয়েছে একটি ডরমিটরি।
পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত জুড়ে রয়েছে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক এলাকা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা’ এদেশের সর্বপ্রথম স্থাপিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
রয়েছে সুবিশাল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, কেন্দ্রীয় মসজিদ, কেন্দ্রীয় মন্দির, সাবাস বাংলাদেশ ভাষ্কর্য, বুদ্ধিজীবী চত্বর, বধ্যভূমি স্মৃতিফলক, গোল্ডেন জুবলি টাওয়ার ও বেড়ানো, আড্ডার বিখ্যাত প্যারিস রোড। আরো কত কী যে আছে, সে হিসেব কারো কাছে নেই।
ওএস।

Header Ad

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি

ছবি: সংগৃহীত

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর সাথে এবার জুটি বাধলেন বাংলাদেশের তারকা অভিনেত্রী আফসানা মিমি। বিপ্লবী দীনেশ গুপ্তর জীবনকাহিনি নিয়ে এই সিনেমা নির্মাণ করতে যাচ্ছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা মানসমুকুল পাল।

জানা গেছে, হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাসকে কেন্দ্র করে সিনেমা বানাবেন নির্মাতা মানসমুকুল পাল। আগামীতে সেই সিনেমাতেই দেখা যাবে মিঠুনকে। শোনা যাচ্ছে, অভিনেতার বিপরীতে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশি অভিনেত্রী আফসানা মিমিকে। যদিও নিশ্চিত করে কিছু জানাননি নির্মাতা। তবে ভারতের জাতীয় পুরস্কারজয়ী এই পরিচালক চিত্রনাট্য লেখার আগে বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন।

মূলত সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার আগে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসে থাকা জায়গাগুলো নিজে ঘুরে দেখতে চান মানসমুকুল। ভারতীয় গণমাধ্যমে এ প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, হুমায়ূন আহমেদের যে উপন্যাস অবলম্বনে চিত্রনাট্য লেখা শুরু করছি তাতে বাংলাদেশের একাধিক জায়গার উল্লেখ রয়েছে।

তাই ঢাকা, কিশোরগঞ্জসহ অন্যান্য জায়গায় যাওয়ার কথা আছে। সেই জায়গাগুলো নিজে দেখলে উপলব্ধি থাকবে, আর তাতে চিত্রনাট্য লেখার কাজও সহজ হবে।

শুধু জায়গা পরিদর্শন নয়, বাংলাদেশে এসে অভিনেত্রী আফসানা মিমির সঙ্গেও দেখা করবেন মানসমুকুল। তিনি এ-ও জানান, সিনেমার অধিকাংশ শুটিং বাংলাদেশে হবে। কিন্তু এখনই নয়। বর্তমানে মানসমুকুলের হাতে ৩টি সিনেমার কাজ রয়েছে। সেসব চলচ্চিত্র শেষ করে তবেই তিনি এই সিনেমার কাজ শুরু করবেন।

Header Ad

দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন, দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তারেক রহমান বলেন, সব রাজনৈতিক দল মিলে আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছি। দেশের মানুষের হাতে ক্ষমতা ফিরে যেতে নির্বাচন প্রয়োজন।

তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য আরও ২ বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব ৩১ দফা দিয়েছি আমরা। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে, আরেকজন টেনে নিয়ে যাবে। অন্তর্বর্তী সরকার নিরপেক্ষ ও সত্যিকারের নির্বাচন আয়োজন করতে পারলে, জনগণ তবেই জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আমরা কেন বারবার নির্বাচনের কথা বলছি। আমরা বিশ্বাস করি, অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। এর ফলে সংসদের যারা জনপ্রতিনিধি বাছাই হয়ে আসবে, তারা সংসদে বসে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে, কীভাবে দেশের প্রত্যেকটি সেক্টরের সমস্যা সমাধান করা যায়। সকল সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব প্রকৃত ও সত্যিকারের একটি নির্বাচনের মাধ্যমে।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দায়িত্ব নিতে হলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে আশপাশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। যদি এই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারা যায়, তবেই মানুষ আপনাদের দায়িত্ব দিবে, অন্যথায় দ্বিতীয়বার ভাববে।

এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, বিএনপি খুলনা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো. শরীফুজ্জামান শরীফ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল প্রমুখ।

Header Ad

২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা

ফাইল ছবি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে

রোববার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচদিনে আবহাওয়া পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান