‘দেশ আজ হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে’
লেখা ও ছবি : মাহমুদুল হাসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
‘শিক্ষক নির্যাতনের বিরুদ্ধে শিক্ষকদের দাঁড়াতে হচ্ছে এটা শিক্ষক হিসেবে খুবই লজ্জাজনক। বিচারহীনতার সংস্কৃতির প্রতিফলনই হচ্ছে শিক্ষক নির্যাতন। আমরা শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা দিতে পারি না। কারণ দেশের ভিতটা দাঁড়িয়ে আছে নৈতিকতা বিবর্জিত অবস্থায়। একটা দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র না থাকলে এমন অরাজকতা হওয়াই স্বাভাবিক’-আজ মঙ্গলবার ৫ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. কুদরত-ই-জাহান কথাগুলো বলেছেন। দেশব্যাপী শিক্ষক হয়রানি, নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি পালন করেন।
কর্মসূচিতে শিক্ষক নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের দাবি তোলা হয়েছে। একই সঙ্গে দাবি উঠেছে শিক্ষাখাতে অধিক বরাদ্দের।
অংশ নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এফ. নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘দেশ আজকে হীরক রাজার দেশে পরিণত হয়েছে। সেই সিনেমায় দেখানো হয়েছিল, একটা দেশকে ধ্বংস করতে চাইলে সে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে হয়। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এখন ধ্বংসের মুখে। সেই পরিস্থিতি থেকে শীঘ্রই পরিত্রাণ পেতে হবে।’
এ সময় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান বলেছেন, ‘এই সমাজটি পঁচে গেছে, এই কারণে সমাজে শিক্ষকরাও হত্যা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। পদ্মা সেতুতে টিকটক করা, প্রস্রাব করা, এগুলো অসুস্থ মানসিকতার কাজ। এগুলো সমাজ পঁচে যাওয়ার লক্ষণ। যার দরুন ছাত্ররাও শিক্ষকদের উপর চড়াও হচ্ছেন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় হলো, গণতন্ত্রের সঠিক চর্চা করা। আমাদের তা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনে সাহায্য করবে।’
মানববন্ধনে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান খান মুক্তা উপস্থাপনা করেছেন।
আরো বক্তব্য দিয়েছেন অধ্যাপক ড. ইমামুল হক সানজিদ, অধ্যাপক ড. হাছানাত আলী, অধ্যাপক ড. আবদুল আলীম, অধ্যাপক ড. সারোয়ার জাহান লিটন প্রমুখ।
ওএস।