চাঁদা না দেওয়ায় চবি শিক্ষার্থীকে মারধর
চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেপুরে দোকানের চাঁদা না দেওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মো. আরমান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৯ জুন) রাত সোয়া ৮টায় ফতেপুরে মাইজপট্টির আলাওল দীঘি মসজিদের পাশে জান্নাত এন্টারপ্রাইজ নামে এক দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- চবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. রায়হান ও দোকানদার মো. আলমগীর। মো. আরমান ফতেপুরের মুহাম্মদ মাহমুদের ছেলে।
ঘটনার পর রায়হানের বাবা বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী মো. রায়হান জানান, অভিযুক্ত আরমান দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিল। বুধবার রাতে আমাদের মুদি দোকানে চাঁদা চাইতে আসলে আমি সেখানে যাই। এসময় আরমান মুদি পণ্যের গাড়ি প্রতি ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আরও কয়েকজনকে নিয়ে এসে আমাকে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে আমার গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে দোকানদার আলমগীর বাধা দিতে আসলে তাকেও লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটায়।
তিনি আরও জানান, আমাদের চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এসময় পুনরায় চাঁদা না দিলে অথবা থানায় কোনো অভিযোগ করলে আমাকে আরও মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মারধরের কারণে আমার চোখের নিচে এবং নাক ফেটে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। আমার নাকে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়। আহত আলমগীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। আমি অভিযুক্ত চাঁদাবাজদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।
এ বিষয়ে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রফিক বলেন, আমি কিছু কাজে থানার বাইরে আছি। তাই অভিযোগটি এখনো দেখিনি। থানায় গিয়ে অভিযোগটি দেখে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিব।
এসজি/