পাবিপ্রবিতে ‘সেবা প্রদানে উদ্ভাবন‘ বিষয়ে ২ দিনব্যাপী কর্মশালা
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) ‘সেবা প্রদানে উদ্ভাবন‘ বিষয়ে দুই দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ।
গত ২৭ ও ২৮ জুন দুই দিনব্যাপী ইনোভেশন ইন সার্ভিস ডেলিভারি র্শীষক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল খান। সভাপতিত্ব করেন রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) বিজন কুমার ব্রহ্ম।
ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) এবং গর্ভনেন্স ও ইনোভেশন কমিটির উদ্যোগে রেজিস্ট্রার দপ্তর এ কর্মশালার আয়োজন করে। প্রন্থাগার ভবনের ভার্চ্যুয়াল ক্লাস রুমে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মূখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটেন্সি বিভাগের ড. মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম। আলোচক ছিলেন আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. খাইরুল আলম, আইসিটি সেলের পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন এবং রেজিস্ট্রার দপ্তরের কাউন্সিল শাখার অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. কামরুল হাসান।
কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন বলেন, আমাদের কাজের মধ্যে নতুনত্ব আনতে হবে। নতুন নতুন উদ্ভাবনী পদ্ধতির সৃষ্টি করতে হবে। উদ্ভাবনী পদ্ধতিতে আমাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে। ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে ইনোভেশন এবং নতুন নতুন ভাবনার উৎকর্ষ সাধন করতে হবে। নিজেকে ভালো সেবা দেওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও ভালো সেবা দিতে হবে। উদ্ভাবনী সেবাকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে। দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে, আগামী ভবিষ্যতের উপযোগী উদ্ভাবনী আপনাদের বের করতে হবে। নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য যেন বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সুনাম নষ্ট না হয়।
বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান বলেন, সবাই মিলে কাজ করলে আমরা যেকোনো ভালো কাজ সহজে করতে পারব। আমাদের উৎকৃষ্ট সেবা প্রদান করতে হবে। নতুন নতুন ধারণা তৈরি এবং সেটা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হতে হবে। সাধারণ জনগণের জন্য সেবাকে আরও সহজ ও দ্রুত করতে হবে।
বুধবার (২৮ জুন) বিকালে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা দুইদিনের কর্মশালায় নিজেদের অভিজ্ঞতা তুরে ধরেন। তারা বলেন, এ ধরনের কর্মশালায় কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। নিজেদের মধ্যে সেবা দেওয়ার উপলব্ধি তৈরি হবে। নিজেরা আরও সচেতন হবেন। কর্মশালা আয়োজন করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান অংশগ্রহণকারীরা।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সরকার ২০১৩ সালে ইনোভেশন ইন সার্ভিস ডেলিভারি সেবা চালু করে।
আরএ/