৩১ প্রতিষ্ঠানের ২৪০ জন রুয়েটে
লেখা ও ছবি : মাহমুদুল হাসান, প্রতিনিধি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ও সেরা ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)’। গেটে ঢুকতেই চোখে পড়বে সারি, সারি স্টল। চলছে সারা দেশের প্রাযুক্তিক মহাযজ্ঞ। তারা কেউ তৈরি করেছেন রোবট, কেউ সেগুলো রিমোটে নিয়ন্ত্রণ করছেন। হচ্ছে প্রদর্শনী, চলছে তাদের মেলা। নামটি ‘রোবট্রোনিক্স ২.০’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে দুই দিনের মেলাটি শুরু হয়েছে আজ ২৯ জুন, বুধবার ২০২২ তারিখে। সকাল ১০টায় মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করার কথা ছিল রাজশাহী সিটি কর্পোরেশেনের মেয়র ও মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম মন্ত্রী এবং শহীদ জাতীয় চার নেতার অন্যতম এ. এইচ. এম কামারুজ্জামানের ছেলে ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এ. এইচ. এম. খায়রুজ্জামান লিটনের। জরুরি কারণে উপস্থিত হতে না পরলেও আয়োজনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন রাজশাহী ও বাংলাদেশের রাজনীতির কৃতি সন্তান।
‘রোবোট্রনিক্স ২.০’ মেলার শুভ উদ্বোধন করেছেন রুয়েটের ভিসি প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ। বিশেষ অতিথি হিসেবে সঙ্গে ছিলেন মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফসর ড. মো. এমদাদুল হক, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাইটেক পার্ক, রাজশাহী’র ডেপুটি সেক্রেটারি এ. কে. এ. এম. ফজলুল হক। সমগ্র আয়োজনের স্পন্সর নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও কৃষিবিদ কে. বি. ডি.মো. আমিনুল ইসলাম। আয়োজক হিসেবে ছিলেন মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সজল কুমার দাস।
তার বিভাগের অধ্যাপকরাসহ প্রায় সব বিভাগের শিক্ষকরা ছিলেন। অসংখ্য শিক্ষার্থী ছাড়াও মেলার অংশগ্রহণকারীরা তখন তাদের সঙ্গে। তাদের নিয়ে রুয়েটের উপাচার্য মেলার উদ্বোধন করে খুব খুশি হয়েছেন। অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম শেখ বলেছেন, ‘আমি মনে করি, এই প্রতিযোগিতা তোমাদের সবার ভালো করবে। যুগের সঙ্গে তো তাল মিলিয়ে চলতে হবে। আমাদের এই মেলা সব শিক্ষার্থীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। আমি আরো মনে করি, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অবশ্যই জীবনকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করবে।’
মেলার অন্যতম প্রাণ অধ্যাপক ড. সজল কুমার দাস বলেছেন, ‘পৃথিবী এখন চলছে প্রযুক্তিতে। সারা পৃথিবী প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে অনেক দূর এগিয়েছে। সেই সঙ্গে রোবোটিক সায়েন্সও এগিয়েছে সমান তালে। এখন দৈনন্দিন জীবনে রোবটের ব্যবহার ব্যপক হারে হচ্ছে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ যাত্রায় শামিল হতেই আমাদের রুয়েট মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মাধ্যমে আয়োজন করেছে মেলা।’
তারা জানিয়েছেন, বিরাট মেলাটি মোট ৭টি ইভেন্টে ভাগ করা হয়েছে। আগামীকাল শেষ হবে। সারাদিনের আয়োজন। অংশগ্রহণ করছেন ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৭টি কলেজের ২৪০ জন ছাত্র, ছাত্রী।
মেকাট্রোনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও মেলার অর্গানাইজার চেয়ার অধ্যাপক মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘মেকাট্রনিক্স ও রোবটিক্স প্রযুক্তিক্ষেত্রে যোগ করেছে নতুন মাত্রা।’ তিনি জানিয়েছেন, ‘রোবট্রনিক্স ২.০’ প্রোগ্রাম মূলত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রযুক্তিগত সৃজনশীলতা তৈরির ক্ষেত্র।
মেলার অন্যতম প্রাণ অধ্যাপক ড. সজল কুমার দাস বলেছেন, ‘আমাদের মেলায় থাকছে, শিক্ষার্থীদের আবিষ্কার রোবট প্রযুক্তিগুলোর প্রদর্শনী। অন্যতম এই আকর্ষণ বাংলাদেশে রোবটিক সায়েন্সের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
ওএস।