নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশার মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ দাবি
সড়ক দুর্ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা মমতাজের মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে বিক্ষোভ করেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, এ ঘটনায় মাইশার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
বিক্ষোভের পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফটক পর্যন্ত যান। তবে তাদের মূল সড়কে যেতে বাধা দেয় পুলিশ। পরে সেখানেই মিছিলটি সমাপ্ত করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, মাইশা হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইশার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি করা হয়েছে। এই দুটি দাবির পাশাপাশি সড়ক নিরাপদ করতে আরও ছয়টি দাবির কথা তারা তুলে ধরেছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, যদি এসব দাবি ও ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হয় তাহলে আবারও কঠোর আন্দোলন করা হবে। এসময় শিক্ষার্থীরা দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন।
এই সময়ের মধ্য দাবি পূরণ না হলে কাল রবিবার (৩ এপ্রিল) বেলা দুইটার পর আবার আন্দোলন শুরু করার কথা বলেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাবিগুলো তুলে ধরেন কাউছার হাবীব নামের এক শিক্ষার্থী।
কাউসার হাবিব বলেন, ৮ দফা দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি এবং নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এর জন্য আমাদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। এসব দাবি না মানলে আমরা আবার আন্দোলন করব।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো-
১. দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিশ্চিত করতে হবে।
২. বেপরোয়া ওভারটেক প্রতিরোধে রাস্তার সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে।
৩. হাফ পাসের বিষয়ে সব বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা গণপরিবহন দিতে হবে।
৫. নারীদের জন্য আলাদা বাস দিতে হবে।
৭. প্রস্তাবিত বাস রুট র্যাশনালাইজেশন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর খিলক্ষেতে উড়ালসড়কে গতকাল শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা। তিনি ইংরেজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। ছুটির দিনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরার বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। খিলক্ষেত উড়ালসড়ক দিয়ে ৩০০ ফুট যাওয়ার পথের ঢালে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনায় দায়ী কাভার্ড ভ্যান চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও বিভিন্ন দাবি নিয়ে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।
কেএম/এমএমএ/