আইইউবি লাইব্রেরির বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার ঘুরে দেখলেন সবাই
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম ‘জন্মবার্ষিকী’ ও ‘জাতীয় শিশু দিবস ২০২২’ হয়ে গেল ১৭ মার্চ। এদিন দুপুরে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) মার্চ দুপুরে উপাচার্য অধ্যাপক ড. তানভীর হাসানের নেতৃত্বে একদল অধ্যাপক ও ছাত্র, ছাত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে তার প্রতিকৃতিতে ফুলের শ্রদ্ধামাল্য অর্পণ করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবসে এছাড়াও আইইউবি তাদের ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনেকগুলো আয়োজন করেছে। তাদের আমন্ত্রণে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জের জলসিঁড়ির শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নানা ধরণের প্রতিবন্ধীতায় আক্রান্তদের বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘প্রয়াস ইনস্টিটিউট অব স্পেশাল এডুকেশন’র মোট ৪শ ছাত্র, ছাত্রী এসেছে। সবাই মিলে আইইউবি মিলনায়তনে কেক কেটে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে। এরপর তারা নাচ ও গান পরিবেশন করেছে আইইউবিতে ছাত্র, ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সামনে। তাদেরকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এই বিশেষ ও বর্ণাঢ্য আয়োজনে সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বিশেষ বক্তব্য রেখেছেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের রেজিস্ট্রার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ও লাইব্রেরিয়ান মোহাম্মদ হোচ্ছাম হায়দার চৌধুরী।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার অনেক বাসিন্দা তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে এই বিশেষ অয়োজনে নিজে থেকে অংশগ্রহণ করেছেন।
এই আয়োজনের সার্বিক দিক নির্দেশক ছিলেন আইইউবি'র উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে অনুষ্ঠানের অতিথিদের উপহার প্রদান করেছেন।
এছাড়াও তাদের ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সামনে জায়ান্ট টিভি স্ক্রিন স্থাপন করা হয়েছিল এই দিন। তাতে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম নিয়ে ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে দিনভর।
শেখ রাসেল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও প্রয়াস ইনস্টিটিউট অব স্পেশাল এডুকেশন’র ছেলেমেয়েরা আইইউবি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখেছে। তাদের সঙ্গে অভিভাবক ও শিক্ষকরা ছিলেন। এছাড়াও তারা সবাই আইইউবি লাইব্রেরির বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার ঘুরে দেখেছেন। সারাদিন সবার জন্য খোলা রাখা হয়েছে আইইউবির গ্রন্থাগার। এই বিশেষ উদ্যোগে যেকেউ কর্ণারে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর ২ হাজার ৩শ বইয়ের কালেকশন ঘুরে দেখতে পেরেছেন। অনেক কিছু জানতে পেরেছেন।
ওএস।