এবার মেলায় বাংলা একাডেমির বিক্রি কোটি টাকা ছুঁইছুঁই
চলমান অমর একুশে বইমেলার প্রথম ১৯ দিনে বাংলা একাডেমির ৮৫ লাখ ২৩ হাজার ৮১৫ টাকার বই বিক্রি হয়েছে। একাডেমির বিক্রয়, বিপণন ও পুনর্মুদ্রণ বিভাগ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
মেলার সময় একাডেমির মোট ৯টি বিক্রয় কেন্দ্রে এই বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ড. মু. শহীদুল্লাহ ভবনের বিক্রয় কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। এখানে বিক্রি হয়েছে নগদ ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ২০৩ টাকা এবং চেক/বিলের মাধ্যমে বিক্রি হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার টাকার বই।
ড. মুহাম্মদ এনামুল ভবনের বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হয়েছে আট লাখ ৪৭ হাজার ৫৯৭ টাকা। তথ্যকেন্দ্রের সামনের বিক্রয়কেন্দ্রে বিক্রি হয়েছে চার লাখ ৭৭ হাজার ৫৫১ টাকা।
নজরুল মঞ্চের সামনের বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হয়েছে চার লাখ ৯১ হাজার ৯৭৬ টাকা। উত্তরাধিকার বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হয়েছে সাত হাজার ছয় শত ২০ টাকা। মেলায় মন্দির সংলগ্ন প্রবেশদ্বারের কাছের বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হয়েছে ৯ লাখ ১৭ হাজার ৫৯৪ টাকা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির বিক্রয়, বিপণন ও পুনর্মুদ্রণ বিভাগের পরিচালক ড. জালাল আহমেদ ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, বাংলা একাডেমির বইয়ের বিক্রি ভালো হচ্ছে। প্রত্যাশা তো অনেকই থাকে। মেলা শেষ হোক, দেখি কতটা কী হয়।
মেলার টিএসসি সংলগ্ন প্রবেশদ্বারের কাছের বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হয়েছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯০ টাকা। মেলার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন ফটকের কাছের বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হয়েছে পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ২১ টাকা। আর শিশু কর্ণার সংলগ্ন বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি হয়েছে দুই লাখ ৪৭ হাজার ২৬৪ টাকা।
মেলার ২০তম দিনে রবিবার (৬ মার্চ) কত টাকার বই বিক্রি হয়েছে তা এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে প্রথম ১৯ দিনের গড় বিবেচনায় নিলে ২০ দিনের মোট বিক্রি ৯০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সোমবার (৭ মার্চ) মেলার ২১তম দিন।
এবারের মেলা জমেছে প্রথম থেকেই। বিক্রিও ভালো। প্রকাশনীগুলো বিক্রির অঙ্ক নিয়ে মুখ না খুললেও ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি আশাব্যঞ্জক।
বাংলা একাডেমির বইয়ে পাঠকদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বিভিন্ন অভিধান। এ ছাড়া চলছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘কারাগারের রোজনামচা’, ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ ইত্যাদি।
বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব জালাল আহমেদ বলেন, আসলে বইমেলায় বাংলা একাডেমির বই বেচা-কেনা করাটা কিন্তু মূল লক্ষ্য না। একাডেমির মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাঙালি চেতনাকে ছড়িয়ে দেওয়া।
তিনি বলেন, এবারের বইমেলার একটা লক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে মানুষ সিরিয়াস বই বেশি নিচ্ছে।
এমএ/এমএমএ/