বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নানা সংকটে ধুকছে রাজশাহীর নাট্যচর্চা

রাজনৈতিক ও ক্ষমতাকেন্দ্রিক বিভাজন, প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব, পৃষ্ঠপোষকতার অভাবসহ নানা সংকটে ধুকছে রাজশাহীর নাট্যচর্চা। তবে সবচেয়ে প্রকট আকার ধারণ করছে কর্মী সংকট। গতানুগতিক ধারা থেকে ডিজিটালাইজেশনে রুপান্তরেও পিছিয়ে এ অঞ্চলের নাট্যচর্চা। এতে ঐতিহ্যবাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের সংস্কৃতি চর্চাও দিন দিন স্তিমিত হয়ে পড়ছে।

রাজশাহীর স্থানীয় নাট্যকর্মীদের মতে, বরেন্দ্র ভূমি রাজশাহীতে নাট্যচর্চার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। সম্ভাবনাও প্রচুর। কিন্তু যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। প্রযুক্তির পালে হাওয়া লাগায় নতুন নাট্যকর্মীও তৈরি হচ্ছে না। একটা সময় নাট্যচর্চায় তরুণদের যে প্রাণোচ্ছলতা ও ভালোবাসা ছিল, সেটাও এখন সেইভাবে নেই। সস্তা জনপ্রিয়তার পেছনেও অনেকে ছুটছেন। টিকটক, লাইকির মতো প্ল্যাট ফর্মে অদক্ষ-অশ্লীল আসক্তি সৃজনশীল নাট্যকর্ম সৃষ্টিতে বাধ সাধছে।

রাজশাহীর স্থানীয় মঞ্চকথা থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক হৃদয় রনি বলেন, নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা নাট্য চর্চায় খুব বেশি আগ্রহী না। যারা কাজ করছে, তাদের মাঝেও আর আগের মতো আন্তরিকতা দেখা যায় না। হাতের কাছে স্মার্ট ফোন। এতে এখন আর সেই মানের সৃজনশীল চর্চার জায়গাটাও নেই।

তিনি বলেন, সম্ভাবনা থাকলেও রাজশাহীতে নাট্যচর্চায় সেইভাবে এগোতে পারেনি। এক্ষেত্রে যে সংকটগুলো সেগুলোও প্রায় সবারই জানা। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতাও খুবই কম। এগুলো থেকে উত্তরণের পথ নিজ নিজ জায়গা থেকে নাট্য সংগঠকরা খুঁজছেন বলে মনে করেন তিনি।

রাজশাহী থিয়েটারের সাবেক সভাপতি কামারুল্লাহ সরকার জানান, রাজশাহীতে এক সময় খুব ভালো নাট্যচর্চা ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেটা ক্ষয়িষ্ণু। রাজশাহীর নতুন প্রজন্মকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারলে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা প্রতিনিয়ত নাটক করছি। উৎসবের আয়োজন করছি। আর অনেকেই এখন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। তারা যদি তাদের পূর্বপুরুষদের কথা মনে রেখে সক্রিয় হন তবে নাট্য আন্দোলন আরও গতিশীল হবে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীতে বর্তমানে রাজশাহী থিয়েটার, রাজশাহী সাংস্কৃতিক সংঘ, সান্ধ্য প্রদীপ সাংস্কৃতিক একাডেমি, মঞ্চকথা থিয়েটার, রংধনু নাট্য একাডেমি, খেলাঘর, ইলামিত্র শিল্পী সংঘ, ভোর হলো- এই সংগঠনগুলোর অধিকাংশই এখন নিষ্ক্রিয়। যেটা হচ্ছে, সংগঠকরা অন্য পেশার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাওয়ায় এখানে সময় দিতে পারছে না। আবার প্রত্যাশা অনুযায়ী নতুন নাট্যকর্মীও তৈরি করতে পারছে না। এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে নিজেকে আপডেট করাসহ নানা কারণ আছে। নাট্যচর্চা দিবসে প্রত্যাশা থাকবে এই সমস্যাগুলো সমাধানের মাধ্যমে রাজশাহীর নাট্যচর্চায় নতুন এক দিগন্ত রচিত হবে।

রাজশাহীতে স্থানীয় নাট্য সংগঠনগুলোর সঙ্গে একীভূত হয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্য সংগঠনগুলোও কাজ করে। স্থানীয় নাট্যচর্চাকারীদের ভাষ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনগুলোই বেশি সক্রিয় রয়েছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় সংগঠনগুলোর সঙ্গে নাট্য সংগঠক হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক নাট্যকার ও নির্দেশক মলয় কুমার ভৌমিক।

তিনি বলেন, নাটক সব সময় সমাজের সত্য তুলে ধরে। এ কারণে তেমন কোনো পৃষ্ঠপোষকতা থাকে না। অনেকটা নিজের খেয়ে বনের বাঘ তাড়ানোর মতো করেই কাজ করেন নাট্যকর্মীরা। আর সংকটের কথা বললে, ১৯৪৭ এর পর থেকেই সংকট আছে। তবে নির্দিষ্ট কোনো সংকট না। রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক সকল সংকটই আছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি যখন দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়, আর রাজশাহীর মতো বিভাগীয় শহরে একটি ‘আধুনিক নাট্যমঞ্চ’ করা সম্ভব হয়নি। তখন সেটা হতাশার।

তিনি বলেন, রাজশাহীতে নাট্যচর্চা যে একটি লয়ে চলছিল, তা সাম্প্রতিক সময়ের কোভিড-১৯ একটি বড় ধাক্কা ছিল। তবে শুভ দিক হচ্ছে, আস্তে আস্তে সেটা থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কিন্তু আপেক্ষের বিষয় হলো স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে একের অধিক বা ডজন খানেক নাট্যদল তৈরি হয়নি।

মলয় ভৌমিক আরও বলেন, নাটক হলো সাধনা ও অনুশীলনের বিষয়। কিন্তু বর্তমানে যুব সমাজ ও তাদের অভিভাবকরা এ বিষয়টিতে আগ্রহী নয়। একারণে কর্মী পাওয়া যায় না। এ ছাড়াও বিভিন্ন সংকট ও অভিঘাতের চিত্র তুলে ধরে নাট্য আন্দোলনের গতিশীলতার প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন তিনি।

এসএন

Header Ad
Header Ad

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব

ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করছে। এর ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্যের মূল্য বাড়তে পারে।

এ তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, সিগারেট, টিস্যু পেপার, মিষ্টি, এলপি গ্যাস, বিমান টিকিট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবারের খরচসহ আরও অনেক পণ্য। বিশ্লেষকরা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এ উদ্যোগ সাধারণ জনগণের ওপর আর্থিক চাপ বাড়াবে এবং মূল্যস্ফীতির বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক কর্মকর্তা জানান, বাজেটের সময় ভ্যাট পরিবর্তন করা হয়, তবে এবারের পরিস্থিতি আলাদা। অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে অতিরিক্ত অর্থ সংগ্রহ করতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। চলমান পরিস্থিতিতে চাল, চিনি, ভোজ্য তেলসহ সাতটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কছাড় দিলেও মাঝপথে ভ্যাট বৃদ্ধির এই উদ্যোগ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়কে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মূল্যস্ফীতির চাপে থাকা সাধারণ মানুষের জন্য আর্থিক দুশ্চিন্তা বাড়াবে এবং জীবনযাত্রার মানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্টে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কিত স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ, ডকুমেন্টারি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণে একটি বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল। এসব তথ্য আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সংরক্ষণের আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) তথ্য অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জনসাধারণের কাছে থাকা এসব তথ্য গুগল ড্রাইভে (muspecialcell36@gmail.com) আপলোড করার অনুরোধ করা হয়েছে।

এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে এসব তথ্য পেনড্রাইভে ধারণ করে সরাসরি গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেলের কার্যালয়ে (২য় তলা, ভবন নং-২, বিএসএল অফিস কমপ্লেক্স, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ১ মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০) হস্তান্তর করারও সুযোগ রয়েছে।

গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত এই উদ্যোগের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র সংরক্ষণ করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান হবে।

Header Ad
Header Ad

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান

স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তার বাসভবনে গিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে প্রবেশ করেন তিনি।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন সেই দোয়া করেছেন সেনাপ্রধান। এ সময় সেনাপ্রধানের সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান ও তার স্ত্রী প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বাড়তে পারে ৬৫ পণ্যের দাম, ভ্যাট বৃদ্ধির প্রস্তাব
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান
স্ত্রীসহ খালেদা জিয়ার বাসভবনে সেনাপ্রধান
রংপুরের টানা তৃতীয় জয়, বরিশালের বিপক্ষে সহজ জয়
ভারতে সিগারেট খাওয়া নিষিদ্ধ চান বলিউড কিং
ইসরায়েলি হামলায় গাজার পুলিশ প্রধানসহ নিহত ১১
নওগাঁয় একবছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৫
অবশেষে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি
বাংলাদেশ আমাদের হারানো ভাই: পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৪৩তম বিসিএস: বাদ পড়া ২২৭ প্রার্থীদের পুনর্বিবেচনার সুযোগ
জানুয়ারিতে বোতলজাত এলপিজি’র দাম অপরিবর্তিত, অটো গ্যাসের দাম সামান্য কম
বছরের শুরুতেই বিয়ে করলেন গায়ক আরমান মালিক
টানা দুই ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল ঢাকা, রাজশাহীর প্রথম জয়
গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশে ৪৩তম বিসিএসে ২২৭ জন বাদ
ভারতে তুলনামূলক হারে কমেছে বাংলাদেশী পর্যটক
ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে নিত্যপণ্যে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্টা
কেন খাবেন সারা রাত ভেজানো কিশমিশ-পানি
বছরের শুরুতেই উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারীসহ আহত ১৫!
বিপিএলে এক ম্যাচেই ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের রেকর্ড
সাংবাদিক মুন্নী সাহা ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করবে দুদক